যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি কমেছে, স্বস্তি দিলো ডিমের দাম: বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি একটি বৃহৎ শক্তি, এবং বিশ্ব অর্থনীতির ওপর এর গভীর প্রভাব রয়েছে। এই কারণে, দেশটির অর্থনৈতিক পরিবর্তনের খবর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি, এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি কমেছে, যা বিভিন্ন মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ২.৩ শতাংশ।
এটি ছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন। গত মার্চ মাসে এই হার ছিল ২.৪ শতাংশ। অর্থাৎ, আগের মাসের তুলনায় মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে।
আশ্চর্যজনকভাবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে এমন ধারণা করা হলেও, বাস্তবে তেমনটা ঘটেনি।
বরং, খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে, যা ভোক্তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। বিশেষ করে ডিমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এপ্রিল মাসে ডিমের দাম কমেছে ১২.৭ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, বার্ড ফ্লু’র প্রকোপ কমে আসায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বেড়েছে। যদিও, বার্ষিক ভিত্তিতে ডিমের দাম এখনও প্রায় ৪৯.৩ শতাংশ বেশি।
অর্থনীতিবিদরা ধারণা করেছিলেন, এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি কমবে না। কারণ, আগের মাসগুলোতে গ্যাসের দাম সেভাবে কমেনি, এবং মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের উপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে, তাদের ধারণা ভুল প্রমাণ করে মূল্যবৃদ্ধির হার প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল।
এই মুহূর্তে, খাদ্য ও জ্বালানি—এই দুটি খাতে মূল্যস্ফীতি ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ।
কারণ, বাজারের অস্থিরতা এবং বিভিন্ন সাময়িক ঘটনার কারণে এই দুইটি জিনিসের দাম দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহারের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে এখন সকলের নজর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শুল্ক-সংক্রান্ত কারণে দাম আরও বাড়তে পারে। তবে, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই মূল্যস্ফীতির হার কমা বাংলাদেশের জন্য বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর ফলে আমদানি খরচ, বিশেষ করে খাদ্যপণ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
এছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এবং রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব থাকতে পারে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক পরিবর্তনের খবর বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন