অবশেষে: ব্রিটিশ সম্মাননায় টম ক্রুজের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া!

টম ক্রুজ, বিশ্ববিখ্যাত অভিনেতা এবং প্রযোজক, সম্প্রতি ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট (বিএফআই)-এর ফেলোশিপ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। গত ১৩ই মে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বিএফআই চেয়ারের বার্ষিক নৈশভোজে ৬২ বছর বয়সী এই তারকাকে এই বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়।

চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার প্রদান করেন ক্রুজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি। অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে টম ক্রুজ চলচ্চিত্র নির্মাণে দলগত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “একটি সিনেমা শেষ হওয়ার পরে, আমরা বিদায় বলি না, বরং খুব শীঘ্রই আবার দেখা হবে। এই বিএফআই ফেলোশিপ পাওয়া আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের, এবং এই সন্ধ্যাটি অবিস্মরণীয়।”

বিএফআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, টম ক্রুজ একজন অভিনেতা এবং প্রযোজক হিসেবে যুক্তরাজ্যের চলচ্চিত্র শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি বহুবার যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সিনেমার শুটিং করেছেন, যা দেশটির চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতিতে সহায়ক হয়েছে।

এছাড়া, তিনি ব্রিটিশ কারুশিল্পের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং এর উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছেন। এর মাধ্যমে, তিনি এই দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করেছেন।

অনুষ্ঠানে টম ক্রুজ তাঁর কাজের প্রতি ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “আমি আমার কাজকে ভালোবাসি, তাই এর থেকে ছুটি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন অনুভব করি না।

আমি প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করি। সিনেমাপাড়ায় কাজ করাটা আমার জন্য পরম সৌভাগ্য।”

অভিনেতা জানান, তিনি ভবিষ্যতে একটি সঙ্গীতধর্মী সিনেমা তৈরি করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, “আমি অবশ্যই একটি সঙ্গীতধর্মী সিনেমা বানাতে চাই।

এছাড়া, আমি ড্রামা এবং অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার সিনেমাও করতে চাই। আমার লক্ষ্য সীমাহীন।”

টম ক্রুজের এই স্বীকৃতি শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্যের গল্প নয়, বরং বিশ্ব চলচ্চিত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তাঁর কাজ এবং উৎসর্গীকৃত মনোভাব, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।

কারণ, কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতা থাকলে যে কোনো ক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব, তা টম ক্রুজ প্রমাণ করেছেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *