আলবেনিয়ায় চতুর্থবারের মতো সরকার গড়তে যাচ্ছে সমাজতন্ত্রীরা!

আলবেনিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে বর্তমান শাসক দল সোশালিস্ট পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। নির্বাচনের প্রায় চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী এডি রামের দল ১৪০ আসনের মধ্যে ৮২টিতে জয়লাভ করেছে।

এর ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পথে রয়েছেন এডি রামা।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ৫১টি আসন। অন্যান্য দলগুলো বাকি আসনগুলোতে জয়লাভ করেছে।

আলবেনিয়ার নির্বাচনী আইনে, কোনো দলের পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে হলে কমপক্ষে ১ শতাংশ ভোট এবং জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে ৫ শতাংশ ভোট পেতে হয়।

নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল পেতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে, কারণ বিরোধীরা তাদের ডায়াস্পোরা ভোটের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। বিশেষ করে গ্রিস থেকে আসা প্রায় ৫৩ হাজার ডাকযোগে পাঠানো ভোটের বিষয়ে তাদের অভিযোগ রয়েছে।

তাদের দাবি, এই ভোটগুলোতে কারচুপি করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো, প্রবাসীরা ডাকযোগে তাদের ভোট দিতে পেরেছিলেন। প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার প্রবাসী তাদের ভোট পাঠিয়েছেন।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্য আলবেনিয়ার নাগরিক এবং প্রবাসীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ, তবে প্রবাসী ভোটারসহ মোট যোগ্য ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩৭ লাখ।

গ্রিস থেকে আসা ডায়াস্পোরা ভোট সম্ভবত তিনটি বা চারটি অঞ্চলের ফলাফলে প্রভাব ফেলবে এবং শাসক দলের পক্ষে কিছু আসন বাড়াতে পারে। বিরোধী দল মনে করে, এই ভোটগুলো সোশালিস্ট পার্টির সমর্থকরা প্রভাবিত করেছে।

তবে ডাক পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, তাদের কাছে সকল ভোটারের স্বাক্ষরের প্রমাণ রয়েছে।

২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা এডি রামা ২০৩০ সালের মধ্যে আলবেনিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন।

অন্যদিকে, রক্ষণশীল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী সালি বেরিশা মনে করেন, আলবেনিয়া এখনো ইইউ সদস্যপদের জন্য প্রস্তুত নয়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দুর্নীতির অভিযোগ এবং বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের কারণে নির্বাচনে রামের দলের ফল খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের ফল তাদের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে প্রতিযোগিতামূলক এবং পেশাদারী হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে তারা সরকারি সম্পদ ব্যবহার, বিভেদ সৃষ্টিকারী মন্তব্য এবং গণমাধ্যমের পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *