ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা (Luiz Inácio Lula da Silva) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
খবর অনুযায়ী, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য পুতিনকে রাজি করাতে চান লুলা।
চীনের একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে লুলা বুধবার বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করব। আমার বলতে কোনো দ্বিধা নেই, ‘এই বন্ধু পুতিন, ইস্তাম্বুলে যান এবং আলোচনা করুন, ধুর!”
জানা গেছে, তুরস্কে এই আলোচনার প্রস্তুতি চলছে এবং খুব সম্ভবত এটি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এটি হতে যাচ্ছে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রথম সুযোগ।
এর আগে ২০২২ সালে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হয়েছিল।
এদিকে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাজিলকে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
ব্রাজিল ও চীন যৌথভাবে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের “একমাত্র পথ” খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পুতিনকে আলোচনার জন্য তুরস্কে আসার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যদি পুতিন বৈঠকে যোগ না দেন, তাহলে এটি প্রমাণ হবে যে মস্কো শান্তি চায় না।
একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও (Donald Trump) এই আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য তুরস্কে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মার্কো রুবিও (Marco Rubio) সম্ভবত শুক্রবার ইস্তাম্বুলে যাবেন।
তবে, ক্রেমলিন এখনো জানায়নি যে পুতিন ব্যক্তিগতভাবে বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা।
তারা শুধু জানিয়েছে যে “রুশ প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকবে”।
রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ (Sergei Ryabkov) রুশ সংবাদ সংস্থাগুলোকে বলেছেন, মস্কো ইউক্রেন নিয়ে গুরুতর আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে কিয়েভের আলোচনার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা