হলিউডের সিনেমা জগতে পরিচিত একটি নাম, মরিস। তিনি ছিলেন একজন কুমির, যিনি অভিনয় করেছেন একাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে।
সম্প্রতি, এই বর্ষীয়ান অভিনেতা, যিনি “হ্যাপি গিলমোর” এবং “ডক্টর ডু littleল ২”-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন, মারা গিয়েছেন। তাঁর বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি।
মরিস কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের মোস্কা এলাকার একটি কুমির খামারে বসবাস করতেন। খামার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রবিবার, ১১ই মে, তাঁদের সবচেয়ে বয়স্ক কুমিরটির মৃত্যু হয়েছে।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তারা জানায়, মরিস ১৯ বছর ধরে সেখানে ছিল।
১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মরিস বিভিন্ন সিনেমা এবং টিভিতে কাজ করেছেন। এরপর তিনি অবসর জীবন কাটানোর জন্য কলোরাডোতে চলে আসেন।
খামার কর্তৃপক্ষ জানায়, সঠিক বয়স জানা না গেলেও, তাঁর আকার এবং দাঁতের অবস্থা দেখে অনুমান করা হয়, তাঁর বয়স ছিল ৮০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে।
মরিসের জীবনের শুরুটা ছিল কিছুটা ভিন্ন। লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি বাড়ির উঠোনে অবৈধভাবে পোষা হচ্ছিল তাঁকে। এরপর তাঁকে সেখানকার একমাত্র ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয়, যাঁর কুমির রাখার অনুমতি ছিল।
সেই ব্যক্তি আবার ছিলেন চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত।
“হ্যাপি গিলমোর”, “ডক্টর ডু littleল ২”, “ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার”, “ইরেজার”, “ব্লুজ ব্রাদার্স ২০০০”-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন মরিস।
এছাড়াও, “দ্য টুনাইট শো উইথ জে লোনো”, “নাইট কোর্ট” এবং “কোচ”-এর মতো জনপ্রিয় টিভি শোতেও তাঁর দেখা মিলেছে।
খামারটির মালিক ও পরিচালক জে ইয়ং জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে কয়েক দিন ধরে মরিসের আচরণে কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছিল।
ইয়ং আরও বলেন, “একটি কুমিরের প্রতি আমাদের এত ভালোবাসা থাকতে পারে, এটা হয়তো অনেকের কাছেই অদ্ভুত মনে হতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে, আমাদের প্রতিটি পশুর প্রতিই একই রকম ভালোবাসা রয়েছে।”
মরিসের স্মৃতিস্বরূপ, কলোরাডো গেইটর ফার্ম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁরা মরিসের দেহটিকে ট্যাক্সিডার্মি (প্রাণীর চামড়া ও শরীরের অবয়ব দিয়ে তৈরি মূর্তি) করার পরিকল্পনা করছেন।
এর মাধ্যমে, এই কিংবদন্তি অভিনেতা চিরকাল দর্শকদের মনে গেঁথে থাকবেন।
তথ্য সূত্র: পিপল