বিয়েবাড়ির ছবি: বন্ধুকে বাদ দিয়ে সমালোচনার শিকার এক নববধূ।
বিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান, যা প্রতিটি মানুষের জীবনে আনন্দের মুহূর্ত নিয়ে আসে। আর এই আনন্দঘন মুহূর্তের স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে ছবি তোলার জুড়ি নেই।
সম্প্রতি, এমনই একটি ছবি তোলার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক নববধূ তার বিয়ের ছবি তোলার সময় এক বন্ধুকে বাদ দেওয়ায় বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, বিয়ের কনে তার ছয়জন বান্ধবীর সাথে ছবি তোলার পরিকল্পনা করেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ‘এন’ নামের একজন নারী।
তিনি বেশ লম্বা এবং সুঠাম গড়নের ছিলেন। এছাড়াও, তিনি এমন একটি পোশাক পরেছিলেন, যা কনে অন্যান্য বান্ধবীদের জন্য নির্ধারিত পোশাকের থেকে আলাদা ছিল।
কনে চেয়েছিলেন সবাই একই রঙের পোশাক পরুক, কিন্তু এন-এর পোশাকের কারণে ছবিতে তাকে একটু ভিন্ন দেখাচ্ছিল।
কনে জানান, ছবি তোলার পর যখন তারা ছবিগুলো দেখছিলেন, তখন সবাই যেন একই রকম অনুভব করেছিলেন। তবে, কেউই বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি।
পরবর্তীতে, এন নিজেই কনেকে বলেন, “যদি চাও, কিছু ছবি আমাকে ছাড়া তুলতে পারো।” কনে তখন রাজি হন এবং অন্য বান্ধবীদের নিয়ে কিছু ছবি তোলেন, যেখানে এন ছিলেন না।
বিয়ের পর, কনে তার পছন্দের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। কিন্তু সেখানে এন-এর কোনো ছবি ছিল না।
এরপরেই ঘটে বিপত্তি। এন কনেকে জানান, ছবিগুলোতে তাকে না দেখে তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছেন। কনে এন-কে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু এন তার কথা মানতে রাজি হননি।
বরং তিনি কনেকে স্বার্থপর এবং আত্মকেন্দ্রিক বলে অভিযুক্ত করেন।
এই ঘটনার পর তাদের মধ্যে কথা বন্ধ হয়ে যায়। কনে জানান, তিনি খুবই দ্বিধাগ্রস্ত যে তার কাজটি ঠিক ছিল কিনা।
তার স্বামীও তার পক্ষেই ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হলে, অনেকেই কনের সমালোচনা করেন।
তাদের মতে, বন্ধুত্বের চেয়ে সুন্দর ছবি তোলার আকাঙ্ক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। একজন মন্তব্যকারী বলেন, “তোমার বান্ধবীরা কোনো পুতুল নয়, যাদের ছবি থেকে বাদ দেওয়া যায়।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিয়ের ছবি তোলার সময় বন্ধুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। কারণ, বিয়ের অনুষ্ঠানে সবাই একসাথে আনন্দ করে এবং এই স্মৃতিগুলো সারাজীবনের জন্য অমূল্য হয়ে থাকে।
কনে যদি তার বন্ধুর অনুভূতিকে গুরুত্ব দিতেন, তাহলে হয়তো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
তথ্য সূত্র: পিপল