শিরোনাম: আইফোন-এর দাম বাড়তে পারে: বাংলাদেশের বাজারে এর প্রভাব
বাংলাদেশে স্মার্টফোনের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, আর এই বাজারে অ্যাপল-এর আইফোন-এর জনপ্রিয়তাও বেশ উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, খুব সম্ভবত নতুন আইফোন-এর দাম বাড়তে পারে।
এর কারণ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি এবং শুল্কের প্রভাবের কথা শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের বাজারে এর প্রভাব কেমন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আন্তর্জাতিক বাজারের খবর অনুযায়ী, অ্যাপল সম্ভবত তাদের নতুন আইফোন-এর দাম বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক।
এই শুল্কের কারণে আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়ে, যা সরাসরি ভোক্তাদের উপর প্রভাব ফেলে। সহজ কথায়, যদি কোনো পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ে, তবে সেই পণ্য কিনতে গ্রাহকদের বেশি খরচ করতে হবে।
অ্যাপল যদি দাম বাড়ায়, তবে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে, কারণ এখানেও আইফোন-এর চাহিদা রয়েছে।
অ্যাপল সাধারণত তাদের পণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরাসরি শুল্কের কথা উল্লেখ করতে চায় না। তারা এক্ষেত্রে নতুন ফিচার বা উন্নত প্রযুক্তির কথা বলতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, নতুন আইফোন-এ যদি উন্নত ক্যামেরা বা আরও বেশি স্টোরেজ যুক্ত করা হয়, তবে সেই যুক্তির মাধ্যমে দাম বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া, শোনা যাচ্ছে অ্যাপল একটি নতুন, পাতলা মডেলের আইফোন বাজারে আনতে পারে, যা সম্ভবত আরও প্রিমিয়াম (premium) ক্যাটাগরিতে থাকবে।
তবে, অ্যাপল-এর জন্য দাম বাড়ানোটা খুব সহজ হবে না। কারণ, স্মার্টফোন বাজারে এখন অনেক প্রতিযোগী রয়েছে।
স্যামসাং, শাওমি-এর মতো ব্র্যান্ডগুলো বিভিন্ন দামে ভালো মানের স্মার্টফোন সরবরাহ করছে। তাই দাম বাড়ালে, অ্যাপল-এর বিক্রি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বর্তমানে, বাংলাদেশে আইফোন-এর দাম বেশ চড়া। এটি মূলত একটি বিলাসবহুল পণ্য হিসেবেই বিবেচিত হয়।
যদি নতুন আইফোন-এর দাম বাড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য এটি কেনা আরও কঠিন হয়ে যাবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি আইফোন-এর দাম ১০০০ ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার বেশি) হয়, তবে তা অনেকের জন্যই অনেক বেশি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাপল যদি দাম বাড়ায়ও, তবে তারা সরাসরি দাম না বাড়িয়ে, অন্যান্য কৌশল নিতে পারে।
যেমন – অতিরিক্ত স্টোরেজের জন্য বেশি চার্জ করা অথবা নতুন কোনো ফিচারের জন্য আলাদা মূল্য নির্ধারণ করা।
এ বিষয়ে এখনো অ্যাপল-এর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারের খবর এবং প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই আইফোন-এর দামের পরিবর্তন হতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের বাজারে আইফোন-এর চাহিদা এবং বিক্রির উপর কী প্রভাব পড়ে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন