শিরোনাম: হলিউড থেকে বিদায়, ছেলের স্মৃতি নিয়ে পরিবারের কাছে ফিরলেন গ্যারি সিনিস
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা গ্যারি সিনিস এখন ব্যস্ত তাঁর পাঁচ নাতি-নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে। ৭০ বছর বয়সী এই অভিনেতা জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গেই এখন তাঁর সবচেয়ে ভালো লাগে।
নব্বইয়ের দশকে ‘ফরেস্ট গাম্প’ ও ‘অ্যাপোলো ১৩’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি পাওয়া সিনিস ২০১৯ সালে অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নেন। এর কারণ ছিল তাঁর ছেলে ম্যাকের ক্যান্সার।
২০১৮ সালে সিনিসের স্ত্রী মইরার স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেই সময়েই জানা যায়, তাঁর ছেলে ম্যাকের মেরুদণ্ডে টিউমার হয়েছে। বিরল এই ক্যান্সারটি ‘কর্ডোমা’ নামে পরিচিত।
একদিকে স্ত্রীর চিকিৎসা, অন্যদিকে ছেলের অসুস্থতা—সবকিছু সামলাতে এক কঠিন সময় পার করতে হয় সিনিসকে। সিনেমায় অভিনয়ের ফাঁকে ফাঁকে তিনি ছেলের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নিতেন।
ছেলের চিকিৎসার জন্য তিনি সব ধরনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে অবশেষে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি, ৩৩ বছর বয়সে ম্যাকের জীবনাবসান হয়। ছেলের স্মৃতি আজও তাঁর হৃদয়ে উজ্জ্বল।
ম্যাকের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে চান অভিনেতা।
সিনিস জানান, ম্যাক তাঁদের জন্য সুন্দর কিছু রেখে গেছে। তিনি চান, মানুষ ম্যাককে জানুক। ম্যাক ছিলেন একজন সঙ্গীতশিল্পী এবং সুরকার।
বাবার অনুপ্রেরণায় তিনি ড্রাম বাজানো শিখেছিলেন এবং পরে হারমোনিকা বাজানোও রপ্ত করেন। মৃত্যুর আগে ম্যাক তাঁর কিছু গান রেকর্ড করে যান, যা ‘রিসারেকশন অ্যান্ড রিভাইভাল’ নামে প্রকাশিত হয়েছে।
এই গানের স্বত্ব থেকে পাওয়া অর্থ গ্যারি সিনিস ফাউন্ডেশনে দেওয়া হবে।
২০১১ সালে গ্যারি সিনিস তাঁর ফাউন্ডেশনটি তৈরি করেন, যা বিশেষভাবে সেনা সদস্য, জরুরি বিভাগের কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের জন্য কাজ করে। সিনিস বলেন, এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি অনেক পরিবারকে সাহায্য করেছেন, যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন।
তিনি মনে করেন, ঈশ্বর তাঁকে এই ধরনের ক্ষতির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন।
ছেলের মৃত্যুর পর সিনিস উপলব্ধি করেন, পরিবারের সঙ্গে কাটানো সময়টাই সবচেয়ে মূল্যবান। তিনি জানান, অভিনয় জগতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা, তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
এখন তিনি চান, পরিবারের সঙ্গেই থাকতে।
তথ্য সূত্র: পিপল