যুদ্ধ কি তবে সহজে থামছে না? ইউক্রেন যুদ্ধের ১,১৭৬তম দিনে কী ঘটল?

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ন্যাটো জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্য দেখা যাচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা নিয়ে কেউ কেউ কিছুটা আশাবাদী হলেও, অনেকে মনে করছেন রাশিয়া এখনো পর্যন্ত শান্তি চায় এমন কোনো লক্ষণ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৫ই মে) বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গাস স্যাকনা তুরস্কের উদ্দেশ্যে রাশিয়া কর্তৃক একটি নিম্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়টিকে ‘উপহাস’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

অন্যদিকে, ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি নিয়ে ‘সতর্ক আশাবাদ’ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন রাশিয়ার পক্ষ থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে।

তবে, এক্ষেত্রে ইউক্রেনের পাশাপাশি রাশিয়ারও সহযোগিতা প্রয়োজন।

লাটভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাইবা ব্রাজে-এর মতে, রাশিয়া যে ইউক্রেনে শান্তি চায়, তেমন কোনো ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি তুরস্কের সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা দুর্বল করাই হলো ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে সহজ এবং সরাসরি উপায়’।

যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে ন্যাটো জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এই ভিন্নমত বিশেষভাবে লক্ষণীয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শান্তি আলোচনা শুরু করতে হলে রাশিয়াকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।

এছাড়াও, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এক্ষেত্রে জরুরি।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *