যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি: জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্রুততম প্রবৃদ্ধি।
লন্ডন, [তারিখ]- ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি লাভ করেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই সময়ে দেশটির জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ০.৭ শতাংশ বেড়েছে, যা জি-৭ ভুক্ত উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
ব্রিটেনের এই অর্থনৈতিক সাফল্যের পেছনে দেশটির পরিষেবা খাত (services sector)-এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতির ওপর জোর দেয় এবং এই প্রবৃদ্ধি তাদের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রেজারি প্রধান র্যাচেল রিভস এই বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, গত জুলাই মাসে সরকার গঠনের পর থেকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো ইতিবাচক ফল দিতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এই বছরের প্রথম তিন মাসে জি-৭-এর মধ্যে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হতে চলেছি, যা অত্যন্ত আনন্দের।
তবে, অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলছেন যে, এই প্রবৃদ্ধি বেশি দিন নাও টিকতে পারে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি এবং অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয়কে দায়ী করছেন। বিশেষ করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, যা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
যদিও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে কিছু ব্রিটিশ পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব রয়েছে।
জার্মানীর ডয়েচে ব্যাংকের প্রধান ইউকে অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় রাজা মনে করেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই প্রবৃদ্ধির হার কমে যেতে পারে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, নতুন শুল্কের কারণে রপ্তানি হ্রাস এবং বিশ্বব্যাপী চাহিদার দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
এপ্রিল মাস থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নতুন কর আরোপ এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ার কারণেও ভোক্তাদের চাহিদা কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। একদিকে যেমন সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের সুফল দেখা যাচ্ছে, তেমনই বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা এবং অভ্যন্তরীণ কিছু চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস