যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিকভাবে কেনাকাটার ক্ষেত্রে এপ্রিল মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে ভাটা পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মার্চ মাসে কেনাকাটার পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও, এপ্রিলের হিসাব বলছে, ভোক্তারা এখন তাদের ব্যয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক হচ্ছেন।
এপ্রিল মাসের হিসাব অনুযায়ী, খুচরা বিক্রি বেড়েছে মাত্র ০.১ শতাংশ। যেখানে মার্চ মাসে এই বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ১.৭ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা ধারণা করেছিলেন এই বৃদ্ধি ০.২ শতাংশ হতে পারে। তবে এপ্রিল মাসের এই হিসাব তাদের ধারণার চেয়েও খারাপ।
মূলত, গত মাসের শুরুতে ভোক্তারা শুল্কের প্রভাব এড়িয়ে কেনাকাটা করায় মার্চে বিক্রি বেড়েছিল। কিন্তু এপ্রিল মাসে সেই প্রবণতা দেখা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো ভোক্তাদের ব্যয়। দেশের মোট উৎপাদন বা জিডিপির (GDP) দুই-তৃতীয়াংশ আসে এই খাত থেকে।
খুচরা বিক্রয়ে এই ধরনের পতন দেখা দিলে, গত ত্রৈমাসিকের মতো এবারও জিডিপি দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে মোটর গাড়ি ও যন্ত্রাংশ বিক্রয়ে। মার্চে যেখানে এই খাতে বিক্রি ছিল ৯.৪ শতাংশ, এপ্রিল মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে -০.১ শতাংশে।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের কারণে ভোক্তাদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যা তাদের ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে।
ওয়াল স্ট্রিট এবং ফেডারেল রিজার্ভ এখন ভোক্তাদের এই আচরণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত বছরের শেষ দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কেনাকাটার যে গতি ছিল, তা এখন কমে এসেছে।
শুল্কের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়, অনেক আমেরিকান এখন তাদের কেনাকাটা সীমিত করছেন।
এর ফলে, অর্থনীতির উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন