তরুণ সঙ্গীতশিল্পী হাডসন ওয়েস্টব্রুক, যিনি সম্প্রতি কান্ট্রি সঙ্গীত জগতে নিজের স্থান করে নিয়েছেন, তার সাফল্যের গল্প শোনাচ্ছেন। ২০২০ সালে “টেক ইট স্লো” গানটির মাধ্যমে তিনি পরিচিতি লাভ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সঙ্গীতপ্রেমীদের মন জয় করে নেন।
এই সাফল্যের পেছনে ছিল তার কঠোর পরিশ্রম আর সঙ্গীতের প্রতি গভীর ভালোবাসা।
মাত্র কয়েক মাস আগেও ওয়েস্টব্রুক টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটিতে তেল ও গ্যাস বিষয়ে পড়াশোনা করতেন। কিন্তু সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসাই তাকে অন্য পথে টেনে নিয়ে যায়।
পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে তিনি পুরোদমে সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন। তার এই সিদ্ধান্তটি প্রথমে পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে মায়ের জন্য কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল। কারণ, বাংলাদেশে সাধারণত পড়াশোনা শেষ করার পরেই ক্যারিয়ার গড়ার প্রবণতা দেখা যায়।
ওয়েস্টব্রুকের ভাষ্যমতে, “আসলে আমি কখনো ভাবিনি যে আমি পেশাদার শিল্পী হতে পারব। হাই স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে গান গাইতাম, সেটা ছিল নিছকই আনন্দের জন্য।
তবে তার মা সবসময় তাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন।
সঙ্গীত জগতে নিজের পথ খুঁজে পাওয়ার পেছনে তিনি কান্ট্রি সঙ্গীত শিল্পী মিরান্ডা ল্যামবার্টের পরামর্শকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। ল্যামবার্টের মতে, “নিজের কাজ করে যাও এবং অন্য সব বিষয়ে মন দিও না।
নিজের শিল্প তৈরি করো এবং সেই শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত কাজগুলো করো। কখনোই নিজেকে বদলাতে যেও না।
ওয়েস্টব্রুকের সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, তিনি সবসময় নিজের প্রতি সত্য থেকেছেন। তিনি মনে করেন, “আমি এমন ধরনের গান তৈরি করতে চেয়েছি, যা আগে কেউ শোনেনি।
তাই আমি সেই কাজটিই করার চেষ্টা করেছি।
আসন্ন গ্রীষ্মে ওয়েস্টব্রুক জনপ্রিয় শিল্পী পার্কার ম্যাককলামের সঙ্গে একটি কনসার্টে অংশ নিতে যাচ্ছেন। সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা ও নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের কারণেই তিনি আজ এত দূর এসেছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল