জ্যাসমিন টোকস, যিনি ফ্যাশন জগতে সুপরিচিত, এবার রূপচর্চার জগতে প্রবেশ করেছেন। তিনি সাবরিনা কাস্টেনফেল্টের সাথে মিলে তৈরি করেছেন নতুন একটি সৌন্দর্য ব্র্যান্ড, যার নাম ব্রুনেল।
এই ব্র্যান্ডের মূল লক্ষ্য হল ত্বকের যত্নে নতুনত্ব আনা, যেখানে শরীরচর্চার তেলের (body oil) মাধ্যমে সুস্থ জীবনধারা এবং মনের শান্তির (wellness and mindfulness) ধারণা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সম্প্রতি, এই ব্র্যান্ডের ‘গোল্ডেন আওয়ার গ্লো বডি অয়েল’ মেট গালা অনুষ্ঠানে গোপনে ব্যবহার করা হয়, যা আন্তর্জাতিক ফ্যাশন জগতে বেশ সাড়া ফেলেছে।
ব্রুনেল মূলত তিনটি বডি অয়েল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে: ‘অ্যাওয়েকেনিং বডি অয়েল’, ‘রিনিউয়াল বডি অয়েল’ এবং ‘গোল্ডেন আওয়ার গ্লো বডি অয়েল’। অ্যাওয়েকেনিং বডি অয়েল ভিটামিন সি দিয়ে তৈরি, যা ত্বকের বাইরের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
রিনিউয়াল বডি অয়েল তৈরি হয়েছে ল্যাভেন্ডার এবং ইউক্যালিপটাস-এর নির্যাস দিয়ে, যা ত্বককে আরাম দিতে সাহায্য করে। আর গোল্ডেন আওয়ার গ্লো বডি অয়েল-এ আছে ক্যাফিন, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
জ্যাসমিন টোকস দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাশন ও সৌন্দর্য জগতে কাজ করেছেন। তিনি জানান, এই ব্র্যান্ড তৈরির মূল ধারণা আসে যখন তিনি অনুভব করেন, বাজারে বডি অয়েলের ধারণাটিকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
ব্রুনেল-এর লক্ষ্য হলো, এই ধারণাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং ত্বকের যত্নের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বডি অয়েলকে তুলে ধরা।
এই ব্র্যান্ড তৈরির পেছনে সাবরিনা কাস্টেনফেল্টের অভিজ্ঞতাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, “আমরা দুজনেই সবসময় এমন কিছু খুঁজছিলাম যা আমাদের ব্যস্ত জীবনে শান্তি এনে দিতে পারে।
সেই ভাবনা থেকেই ব্রুনেলের জন্ম।” তাঁরা দুজনেই অনুভব করেন, ত্বকের সৌন্দর্যচর্চায় সুস্থ জীবনধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ব্রুনেলের পণ্যগুলির সুগন্ধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এই ক্ষেত্রে, তারা ‘আইএফএফ স্কেন্টটিউব অ্যালগরিদম’-এর সাহায্য নিয়েছেন।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তাঁরা সুগন্ধের মাধ্যমে মানুষের মনে বিশেষ অনুভূতি জাগানোর চেষ্টা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাওয়েকেনিং বডি অয়েলের সুগন্ধ তৈরি করার সময় এই অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে, যা আত্মবিশ্বাস এবং আনন্দের অনুভূতি দিতে সাহায্য করে।
মেট গালা অনুষ্ঠানে ব্রুনেলের ‘গোল্ডেন আওয়ার গ্লো বডি অয়েল’-এর ব্যবহার প্রমাণ করে, এই ব্র্যান্ডটি ফ্যাশন এবং সৌন্দর্যপ্রেমীদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
জ্যাসমিন টোকস মনে করেন, এই পণ্যগুলো নারীদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। তিনি চান, ব্রুনেলের মাধ্যমে সবাই যেন তাদের ত্বকের যত্ন নিতে পারে এবং নিজেদের ভালো অনুভব করতে পারে।
বর্তমানে, ব্রুনেলের পণ্যগুলো বিশ্বজুড়ে উপলব্ধ। বাংলাদেশেও খুব শীঘ্রই এই ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: People