যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে শুক্রবার, ১৬ই মে তারিখে সংঘটিত হওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিচে তুলে ধরা হলো।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে আক্রমণ জোরদার করেছে। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে, যেখানে তীব্র লড়াই চলছে।
জানা গেছে, রুশ সেনারা খারকিভ অঞ্চলের একাধিক গ্রামে প্রবেশ করেছে এবং সেখানকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে তাদের অবস্থা বেশ কঠিন।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার এই আক্রমণ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যূহ দুর্বল করার কৌশল। এর মাধ্যমে তারা দেশটির পূর্বাঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও সুসংহত করতে চাইছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেন পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা আরও দ্রুত চাইছে, যাতে তারা রাশিয়ার এই আগ্রাসন মোকাবিলা করতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা খুবই কম। উভয়পক্ষই যুদ্ধের ময়দানে সুবিধা অর্জনের চেষ্টা করছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাচ্ছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে।
তবে, এই যুদ্ধের প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়ছে, বিশেষ করে খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায়।
যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনা করে, উদ্বাস্তু সমস্যাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাজার হাজার ইউক্রেনীয় তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।
মানবিক সংস্থাগুলো তাদের সহায়তার জন্য কাজ করছে, কিন্তু পরিস্থিতি এখনো গুরুতর।
এই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। তবে, এটি স্পষ্ট যে, সংঘর্ষ অব্যাহত থাকলে এর ফল হবে সুদূরপ্রসারী এবং বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব আরও বাড়বে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা