ভয় থেকে সম্পর্ক? একা জীবনের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে চাওয়া কি স্বার্থপরতা?

ভবিষ্যতের একাকীত্ব? ভালোবাসার বদলে সঙ্গ খোঁজা কি ভুল?

বর্তমান যুগে, জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে এসে অনেকেই সম্পর্কের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন। ভালোবাসার গভীর অনুভূতি থেকে নয়, বরং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা এবং একাকীত্বের ভয়ে অনেকে জীবনসঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।

সম্প্রতি, এমনই এক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, যিনি ভালোবাসার পরিবর্তে একাকীত্ব দূর করার উদ্দেশ্যে সম্পর্ক গড়ার কথা ভাবছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচে তুলে ধরা হলো।

পঞ্চান্ন বছর বয়সী ওই ব্যক্তি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে একা জীবন যাপন করছেন, তাঁর পিতার অসুস্থতা এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া সেবা-শুশ্রূষা প্রত্যক্ষ করেছেন। বাবার অসুস্থতার সময় তাঁর দেখাশোনার জন্য পরিবারের সদস্যদের একতাবদ্ধতা তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।

তিনি উপলব্ধি করেছেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একা থাকাটা কতটা কঠিন হতে পারে। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।

তিনি জানাচ্ছেন, অতীতে তিনি কয়েকজন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কারো প্রতিই ভালোবাসার অনুভূতি জাগেনি। তাই একাকী জীবনকেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন।

কিন্তু বর্তমানে, জীবনের এই পর্যায়ে এসে, তিনি অনুভব করছেন, একাকীত্ব সম্ভবত তাঁর জন্য আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

এই বিষয়ে মনোবিদদের পরামর্শ হলো, ভবিষ্যতের ভয় থেকে সম্পর্ক গড়ার চিন্তা করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বরং, জীবনের এই পর্যায়ে এসে, সঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করাটা খুবই স্বাভাবিক।

সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো একে অপরের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকা এবং একসঙ্গে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে শুধু ভালোবাসাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়। পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহানুভূতি এবং একে অপরের প্রতি যত্নশীল হওয়াটাও জরুরি।

ভালোবাসার পাশাপাশি, সঙ্গীর সঙ্গে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

সুতরাং, ভবিষ্যতের একাকীত্ব দূর করার উদ্দেশ্যে সঙ্গ খোঁজাটা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নয়। বরং, এটি একটি স্বাভাবিক প্রবণতা।

তবে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে শুধু ভয় বা একাকীত্ব দূর করাই যথেষ্ট নয়, বরং পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং ভালোবাসার মাধ্যমে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *