প্রায় ২৬ বছরের বিবাহিত জীবনে হঠাৎ ছন্দপতন। মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির গোপন অভ্যাসের কারণে তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতি। স্ত্রী জানতে পেরেছেন স্বামীর অন্তর্বাস পরার কথা। এই নিয়ে তৈরি হওয়া মানসিক টানাপোড়েন ক্রমশ গভীর হচ্ছে।
আশির দশকের গোড়ার দিকে বিয়ে হয় তাদের। হাসি-আনন্দে কাটছিল দাম্পত্য জীবন। তাদের সুখী পরিবারের ছবিটা হঠাৎই বদলে যায় যখন স্ত্রী জানতে পারেন স্বামীর এক গোপন অভ্যাসের কথা।
স্বামীর পরনের জন্য কেনা অন্তর্বাসগুলো তিনি মাঝে মাঝে পরেন। বিষয়টি জানার পরই সম্পর্কের মধ্যে তৈরি হয়েছে তিক্ততা।
স্বামী জানিয়েছেন, তিনি উভকামী (bisexual), কিন্তু স্ত্রীকে সে কথা জানাননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি রাজি হননি।
বরং তিনি স্বামীকে মনোবিদের পরামর্শ নিতে বলেছেন। স্বামীর এই আচরণ মেনে নিতে পারছেন না স্ত্রী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বামীর এই ধরনের আচরণ উভকামিতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নাও হতে পারে। তবে, স্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়ার কারণ হলো সম্পর্কের গভীরতা ও বোঝাপড়ার অভাব।
অনেক সময় সঙ্গীর এই ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত হলে, তা মানসিক আঘাতের কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে, স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েরই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করেন, নিজেদের মধ্যে আলোচনা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। অনেক সময়, এই ধরনের পরিস্থিতিতে সঠিক কাউন্সেলিং (counseling) এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে তোলা যেতে পারে।
দাম্পত্য জীবনে এমন সমস্যা আসতেই পারে। সঠিক পদক্ষেপ নিলে, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			