টম ক্রুজের ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং’ : অ্যাকশন, স্টান্ট আর এক অভিনেতার জয়জয়কার।
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা টম ক্রুজ মানেই যেন এক অন্য জগৎ। পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই শ্বাসরুদ্ধকর সব দৃশ্য আর অ্যাকশন। ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন ছবি ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং’ মুক্তি পাওয়ার পর আবারও আলোচনায় তিনি।
সিনেমা হলে উপচে পড়া ভিড় আর সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ছবিটা নিয়ে উন্মাদনা বুঝিয়ে দেয়, কেন তিনি আজও দর্শকদের এত প্রিয়।
নতুন এই ছবিতে আগের মতোই টম ক্রুজের দুর্দান্ত সব স্টান্ট দর্শকদের মন জয় করেছে। ৬২ বছর বয়সেও তিনি যেভাবে অ্যাকশন দৃশ্যে নিজেকে মেলে ধরেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
ছবিটিতে ক্রুজকে দেখা যায়, পোশাক পরিবর্তনের দৃশ্যে, বরফের নিচে এবং একটি সাবমেরিনের ভেতরেও।
ছবিতে গল্পের থেকেও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে টম ক্রুজের অভিনয় এবং তার অ্যাকশন দৃশ্যগুলোতে। সমালোচকদের মতে, ছবির মূল ভিলেন গাব্রিয়েল-এর চরিত্রটি তেমন শক্তিশালী নয়।
তবে গল্পের দুর্বলতা সত্ত্বেও, টম ক্রুজের অভিনয় দর্শকদের ধরে রেখেছে। সিনেমার বাজেট প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা বিশাল একটি অঙ্ক)।
‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। এই সিরিজের সিনেমাগুলো সবসময়ই তাদের আকর্ষণীয় গল্প এবং দারুণ সব দৃশ্যের জন্য পরিচিত।
দর্শকদের মধ্যে এই সিনেমাগুলো নিয়ে আগ্রহ সবসময়ই তুঙ্গে থাকে। ছবিতে টম ক্রুজের চরিত্রটি কিভাবে বিশ্বকে বাঁচানোর জন্য একাই লড়ে যান, সেটাই মূল আকর্ষণ।
টম ক্রুজ দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমা জগতে কাজ করছেন এবং তার জনপ্রিয়তা আজও আকাশচুম্বী। তিনি শুধু একজন অভিনেতা নন, বরং সিনেমা তৈরির ক্ষেত্রেও তার নিজস্ব একটি ধারা তৈরি করেছেন।
তিনি সবসময় চেষ্টা করেন, তার সিনেমাগুলো দর্শকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে। এই ছবিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
যদি আপনি অ্যাকশন এবং দুর্দান্ত সব দৃশ্যের সিনেমা পছন্দ করেন, তাহলে ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং’ আপনার জন্য একটি উপভোগ্য সিনেমা হতে পারে।
তথ্য সূত্র: The Guardian