৯ মাস ধরে ছেলের ‘মমি’ দেহ আগলে রাখলেন মা! কিভাবে?

নিউজিল্যান্ডের (New Orleans) লেকভিউ (Lakeview) এলাকায় বসবাসকারী এক বৃদ্ধা মহিলার বাড়িতে তার ৬০০ পাউন্ড ওজনের ছেলের ‘মমি’ করা মরদেহ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, মহিলাটি প্রায় নয় মাস ধরে ছেলের এই মরদেহটির সঙ্গেই বসবাস করছিলেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম।

বারবারা হেইনসওয়ার্থ নামের ওই বৃদ্ধা মহিলা বর্তমানে তদন্তের আওতায় রয়েছেন। শহরের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, মহিলার বাড়িটি ময়লা-আবর্জনা, মুরগি, মোরগ এবং ইঁদুরে পরিপূর্ণ ছিল।

তদন্তকারীরা গত ১৫ই মে, বৃহস্পতিবার তার ছেলের ‘মমি’ করা মরদেহটি খুঁজে পান।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতিবেশীরা বাড়ির এই বেহাল দশার বিষয়ে একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এক সময়ের চিকিৎসক হেইনসওয়ার্থের প্রায় এক দশক আগে ডাক্তারি সনদ বাতিল করা হয়েছিল।

খবর অনুযায়ী, নিউ অরলিন্স পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (NOPD) কর্মকর্তারা যখন ঘটনাস্থলে যান এবং মহিলার কাছে তার বাড়িতে পচন ধরা মরদেহ থাকার কারণ জানতে চান, তখন তিনি জানান, “ওটা আমার ছেলে। প্রায় নয় মাস আগে তার মৃত্যু হয়েছে।”

ছেলেটির নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে পুলিশকে হেইনসওয়ার্থ জানিয়েছিলেন, তার ছেলে বেশ কয়েকটি শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

কোড এনফোর্সমেন্ট (Code Enforcement) বিভাগ বাড়িটিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে, আপাতত এটি ভেঙে ফেলার কোনো পরিকল্পনা নেই।

স্বাস্থ্য বিভাগের এক সদস্যের মাধ্যমে ৭ই মে তারিখে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বাড়ির এই অবস্থার বিষয়টি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কোড এনফোর্সমেন্টের একজন তদন্তকারী দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। সেখানে, একটি ‘মমি’ করা মরদেহ এবং চরম আবর্জনার স্তূপ সহ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখা যায়। এছাড়া, বাড়ির ভেতরে এবং আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে ময়লা ছিল।”

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ৬ই মে তারিখে, অর্থাৎ ঘটনার এক দিন আগে, হেইনসওয়ার্থকে ৬,১২৫ ডলার জরিমানা করা হয়েছিল এবং বাড়িটিকে জনদুর্ভোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

এই ঘটনার পরে, মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়নের জন্য ওই মহিলার কাছে একটি মোবাইল ক্রাইসিস ইউনিট পাঠানো হয়। কোনো অপরাধের জন্য তাকে অভিযুক্ত বা গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং তদন্ত এখনো চলছে।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *