ওবামার সংসারে ঝড়! থার্মোস্ট্যাট নিয়ে বারাককে নিয়ে মিশেলের মজাদার রসিকতা!

মিশেল ওবামা এবং বারাক ওবামার দাম্পত্য জীবনের একটি মজার দিক সম্প্রতি সবার সামনে এসেছে।

প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডি, অ্যামি পোহলারের একটি পডকাস্টে (podcast) অতিথি হয়ে এসেছিলেন। সেখানে তিনি তাদের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু কথা বলেছেন।

তাদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি ছিল, একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যেকার খুনসুটি, যা অনেক বিবাহিত দম্পতির কাছে খুব পরিচিত।

আলোচনার সময় মিশেল ওবামা জানান, তাদের মধ্যেকার এই ছোটখাটো ঝগড়ার মূল কারণ হলো ঘরের তাপমাত্রা।

ঘুমের জন্য আরামদায়ক তাপমাত্রা নিয়ে তাদের দুজনের ভিন্ন মত রয়েছে। মিশেলের মতে, বারাক সব সময়ই একটু বেশি ঠান্ডা অনুভব করেন, তাই তিনি প্রায়ই থার্মোস্ট্যাট-এর (thermostat) তাপমাত্রা পরিবর্তন করেন।

মিশেল রসিকতা করে বলেন, “আমি বারাককে বলি, ‘ওটা ধরবে না’। মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘর গরম হয়ে গেছে, তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, ‘তুমি কি থার্মোস্ট্যাট-এ হাত দিয়েছিলে?’’ বারাক তখন নাকি সবসময়ই বলেন, ‘আমি করিনি, আমি আল্লাহর কসম করছি!’”

মিশেলের মতে, এখন বারাক ঘর গরম করার বিষয়টি নিয়ে বেশ সতর্ক থাকেন।

মিশেল মজা করে আরও বলেন, “তিনি এখন থার্মোস্ট্যাট-কে ভয় পান। আমি তাকে বলি, ‘আমি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর, এই ঘরে কোনো কিছুই স্পর্শ করবে না।’”

এই আলোচনার বাইরে, মিশেল ওবামা তার স্বাস্থ্য এবং জীবনের নতুন একটি অধ্যায় নিয়ে কথা বলেন।

তিনি জানান, বর্তমানে তিনি তাঁর শরীরের কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, বিশেষ করে তার বয়স যখন ৬০-এর কোঠায় পৌঁছেছে।

তিনি ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’-এর (frozen shoulder) মতো স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়েও কথা বলেছেন।

চিকিৎসকদের মতে, এই সমস্যা সাধারণত মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

মিশেল আরও জানান, তিনি এখন তার জীবনের এই নতুন সময়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চান।

তাই তিনি একজন থেরাপিস্টের (therapist) সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেন।

তিনি বলেন, “নিজের পুরোনো অভ্যাসগুলো ঝেড়ে ফেলতে চাই। অতীতের কিছু গ্লানি আছে, যা থেকে মুক্তি পেতে চাই।

আমার মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক আমাকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে, সে বিষয়েও কথা বলতে চাই।”

মিশেলের এই ব্যক্তিগত আলোচনা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

বিশেষ করে জীবনের নতুন পর্যায়ে যারা প্রবেশ করছেন, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *