এন ভোগ, নব্বইয়ের দশকে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি জনপ্রিয় মার্কিন সঙ্গীত দল, তাদের ৩৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। সম্প্রতি, এই দলের সদস্যরা তাদের নামকরণের পেছনের গল্পটি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘দ্য জেনিফার হাডসন শো’-তে তারা তাদের নামের উৎপত্তির বিষয়ে মুখ খোলেন।
দলের সদস্য টেরি এলিস জানান, শুরুতে তারা তাদের দলের নাম ‘ভোগ’ রাখতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু ‘ভোগ’ নামের একটি বিখ্যাত ম্যাগাজিন থাকায়, তারা সেই নামে দল গঠন করতে পারেননি। এরপর তাদের প্রযোজকদের পরামর্শে নামের শুরুতে ‘এন’ যোগ করা হয় এবং এভাবেই দলটি ‘এন ভোগ’-এ পরিণত হয়।
এই অনুষ্ঠানে দলের অন্য সদস্য সিন্ডি হেরন এবং ম্যাক্সিন জোনসও তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান।
ম্যাক্সিন জোনস ১৩ বছর বিরতির পর সম্প্রতি আবার দলে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন সঠিক সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন এবং এনবিএ অল-স্টার অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার মাধ্যমে তিনি পুনরায় দলে যোগ দেন।
এন ভোগ তাদের সঙ্গীতের মাধ্যমে সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছে।
তাদের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘ডন্ট লেট গো (লাভ)’, ‘হোয়াটা ম্যান’ (সল্ট-এন-পেপার-এর সঙ্গে), ‘ফ্রি ইয়োর মাইন্ড’, এবং ‘গিভ ইট আপ, টার্ন ইট লুজ’।
১৯৯০ সালে ‘হোল্ড অন’ গানের জন্য তারা সেরা আরঅ্যান্ডবি গানের বিভাগে গ্র্যামি পুরস্কার জেতেন।
অনুষ্ঠানে তাদের সঙ্গীত জীবনের অনুপ্রেরণা সম্পর্কে জানতে চাইলে, তারা প pointer sisters, the emotions, the supremes, the shirelles, the jones girls, এবং প্যাটি লাবেলের মতো শিল্পী ও দলের কথা উল্লেখ করেন।
তাদের সাফল্যের পেছনে এইসব কিংবদন্তি শিল্পীদের অবদান অনস্বীকার্য।
এন ভোগ শুধু একটি সঙ্গীত দল নয়, বরং তারা নারী শিল্পী এবং সঙ্গীতের জগতে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তাদের গান আজও সঙ্গীত প্রেমীদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। তাদের এই দীর্ঘ পথচলা এবং সাফল্যের গল্প, নিঃসন্দেহে অনেক তরুণ শিল্পীর জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।
তথ্য সূত্র: পিপলস