টেনিস খেলোয়াড় কি সত্যিই হাসাতে পারে? শুনুন এক কমেডিয়ানের অজানা কথা!

টেনিস কোর্ট থেকে কমেডির মঞ্চে: মাইকেল কোস্টার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা।

খেলাধুলার জগৎ থেকে বিনোদন জগতে আসাটা সব সময়ই একটা আকর্ষণীয় বিষয়। তেমনই এক ব্যতিক্রমী গল্প শোনালেন মাইকেল কোস্টা।

পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় থেকে তিনি আজ একজন সফল কমেডিয়ান, এমনকি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন একটি ব্যঙ্গাত্মক সংবাদ অনুষ্ঠানেও কাজ করেন। খেলাধুলার ময়দানে অর্জিত অভিজ্ঞতা কিভাবে একজন মানুষকে সাফল্যের অন্য শিখরে পৌঁছে দিতে পারে, কোস্টার জীবন তারই প্রমাণ।

কোস্টার খেলোয়াড়ি জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায়, তিনি একসময় বিশ্বের সেরা টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন। এটিপি (ATP) র‍্যাঙ্কিংয়ে তার স্থান ছিল ৮৬৪।

যদিও র‍্যাঙ্কিং উপরের দিকে ছিল না, তবে টেনিসের কঠিন প্রশিক্ষণ আর প্রতিযোগিতার মানসিকতা তাকে গড়ে তুলেছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘লাকি লুজার’ (Lucky Loser) বইয়ে কোস্টা তার এই যাত্রাপথের কথা উল্লেখ করেছেন।

খেলাধুলার জগৎ থেকে কমেডি জগতে আসাটা খুব সহজ ছিল না।

টেনিসের কঠিন প্রশিক্ষণ তাকে এই কঠিন পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত করেছিল। একটি সাক্ষাৎকারে কোস্টা জানান, টেনিস খেলার সময় তিনি অনেকবার হেরেছেন, হতাশ হয়েছেন।

এই হারগুলো তাকে হতাশ না করে বরং নতুন কিছু করার জন্য উৎসাহিত করেছে।

আমি যখন র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে ছিলাম, তখন হতাশ না হয়ে হাসির বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম। টেনিসের কঠিন পরিস্থিতি আমাকে বাস্তব জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।

কোস্টা

কমেডিয়ান হিসেবে কাজ করতে গিয়েও তাকে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। কখনও দর্শকদের টিপ্পনী, কখনও কারিগরি ত্রুটি—এসব সামাল দিতে টেনিসের অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে।

টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তিনি যে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছিলেন, তা কমেডি জগতে তাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রেখেছে।

কোস্টার মতে, একজন টেনিস খেলোয়াড়ের চেয়ে একজন কমেডিয়ানের ব্যর্থতা অনেক বেশি কষ্টের।

কারণ, খেলাধুলায় হার হয়তো প্রতিপক্ষের ভালো খেলার ফল, কিন্তু কমেডিতে একটি জোক ফ্লপ করলে তা ব্যক্তিগত আঘাতের মতো লাগে।

বর্তমানে, কোস্টা কমেডি জগতে বেশ পরিচিত।

তিনি প্রমাণ করেছেন, খেলাধুলা থেকে অর্জিত মানসিকতা ও দক্ষতা একজন মানুষকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।

তিনি মনে করেন, টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক মজার মানুষ আছেন, তবে তারা হয়তো নিজেদের সেই দিকটি সেভাবে প্রকাশ করতে পারেন না।

ইগা শিয়াওটেক এবং কোকো গফের মতো খেলোয়াড়দের তিনি বেশ উপভোগ করেন, কারণ তাদের মধ্যে খেলাধুলার চাপেও হাসিখুশি থাকার প্রবণতা দেখা যায়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *