মার্কিন র্যাপ তারকা শন ‘ডিডি’ কম্বসের বিরুদ্ধে আনা যৌন পাচার ও মানবপাচার-সংক্রান্ত মামলার বিচারকার্য শুরু হতে যাচ্ছে। নিউইয়র্কের একটি আদালতে এই মামলার শুনানির জন্য ১২ জন বিচারক নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে, যাদের বয়স ৩০ থেকে ৭৪ বছরের মধ্যে।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ডিডি কম্বস যৌন ব্যবসার উদ্দেশ্যে নারী পাচার, র্যাকেটিয়ারিং এবং পতিতাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
বিচার প্রক্রিয়াটি ম্যানহাটনের আদালতে শুরু হয়েছে এবং এটি প্রায় আট সপ্তাহ ধরে চলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিচারক অরুণ সুব্রামানিয়ান-এর তত্ত্বাবধানে এই বিচার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হচ্ছে।
বিচারকদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রথমে ৬০০ জনের বেশি সম্ভাব্য বিচারকদের মধ্য থেকে বাছাই করা হয়। এরপর তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে এবং তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করে ১২ জন চূড়ান্ত বিচারক নির্বাচন করা হয়। তাদের মধ্যে আটজন পুরুষ এবং চারজন নারী রয়েছেন।
এছাড়াও, এই দলে আরও ছয়জন বিকল্প বিচারক রয়েছেন।
এই বিচারকদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। তাদের মধ্যে কেউ ডেলির কর্মচারী, কেউ বিজ্ঞানী, আবার কেউ কারেকশনাল ফ্যাসিলিটিতে কাজ করেন। তাদের সবারই উচ্চশিক্ষা রয়েছে এবং তারা মামলার বিষয়ে আগে থেকেই কিছুটা অবগত ছিলেন।
তবে তারা সবাই নিরপেক্ষভাবে বিচার করার অঙ্গীকার করেছেন।
শুনানিতে ডিডি কম্বসের প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসি ভেন্টুরার সাক্ষ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ডিডির বিরুদ্ধে শারীরিক, যৌন ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন।
এছাড়াও আরও কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
আদালতে ছবি তোলা বা ভিডিও ধারণের অনুমতি নেই। তাই বিচার কার্যক্রমের কোনো দৃশ্য সরাসরি দেখা যাবে না।
ডিডির আইনজীবীরা তাদের মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। তারা বলছেন, এইসব অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই।
অন্যদিকে, সরকারি আইনজীবীরা বলছেন, ডিডি “ফ্রিক অফস” নামে পরিচিত কিছু অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি অপরাধ চক্র চালাতেন, যেখানে অপহরণ, অগ্নিসংযোগ এবং মাদক ব্যবসার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এই মামলার রায় কী হয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: পিপল