মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মঞ্চ জগতে উজ্জ্বল এক নক্ষত্র, জ্যাসমিন অ্যামি রজার্স। তিনি তাঁর অসাধারণ অভিনয় প্রতিভার মাধ্যমে জয় করেছেন সকলের মন।
বিশেষ করে, ব্রডওয়ের মঞ্চে ‘বিপ! দ্য মিউজিক্যাল’-এ বেটি বুপের চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতি লাভ করেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, এই সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এবার টনি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
তবে, জ্যাসমিনের এই সাফল্যের গল্পটা মোটেও সহজ ছিল না। শুরুতে, ‘বিপ! দ্য মিউজিক্যাল’-এর অডিশনে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন।
পরিচালক জেরি মিচেল প্রথমবার তাঁর অভিনয় দেখে তেমন মুগ্ধ হননি। জ্যাসমিন নিজেই বলেছেন, অডিশনের সেই দিনটির কথা তিনি আজও ভুলতে পারেন না।
কিন্তু হার মানেননি জ্যাসমিন। বরং, প্রথম ধাক্কা তাঁর মনোবল আরও বাড়িয়ে দেয়। তিনি কঠোর পরিশ্রম করতে শুরু করেন, অভিনয়ের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে রপ্ত করার চেষ্টা করেন।
অন্যান্য মিউজিয়ালে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগও আসে তাঁর। অবশেষে, যখন ‘বিপ! দ্য মিউজিক্যাল’-এর জন্য আবার অডিশন শুরু হয়, তখন জ্যাসমিন নিজেকে প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।
পরিচালক জেরি মিচেল জানান, তিনি অনেক অভিনেত্রীর অডিশন নিয়েছিলেন, কিন্তু জ্যাসমিনের কথা তাঁর মন থেকে সরেনি। অবশেষে, জ্যাসমিনকেই বেছে নেওয়া হয় বেটি বুপের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য।
‘বিপ! দ্য মিউজিক্যাল’-এর গল্পটি বেশ আকর্ষণীয়। অ্যানিমেটর ম্যাক্স ফ্ল্যাশারের জনপ্রিয় চরিত্র বেটি বুপ-এর ক্লাসিক জগৎ থেকে বেরিয়ে আসার গল্প এটি।
বেটি, ২০২৩ সালের ম্যানহাটনের ঝলমলে রাস্তায় আত্ম-অনুসন্ধানে নামে। জ্যাসমিন এই চরিত্রে এতটাই সাবলীল ছিলেন যে, তিনি একইসঙ্গে বেটির কার্টুন চরিত্র এবং বাস্তব রূপ ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
জ্যাসমিনের মতে, এই চরিত্রটি তাঁর জীবনকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। বেটির জীবনবোধ, ভালোবাসাপূর্ণ মন এবং চারপাশের মানুষের প্রতি তাঁর যত্ন নেওয়ার বিষয়টি জ্যাসমিনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
টনি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পাওয়াটা জ্যাসমিনের জন্য বিশাল এক স্বীকৃতি। আগামী ৮ই জুন, নিউইয়র্কের রেডিও সিটি মিউজিক হলে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে, ‘বিপ! দ্য মিউজিক্যাল’ নিউ ইয়র্কের ব্রডহার্স্ট থিয়েটারে প্রদর্শিত হচ্ছে। ডেভিড ফস্টার-এর সঙ্গীত, সুজান বিরকেনহেড-এর গান এবং বব মার্টিনের চিত্রনাট্যে তৈরি এই মিউজিক্যাল-এর টিকিট এখন পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: পিপল