ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাসে রুশ ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে, এতে ৯ জন নিহত এবং আরও চারজন আহত হয়েছে। শনিবার সুমি অঞ্চলের বিলোপিলিয়া শহরে এই হামলা চালানো হয়, যা রাশিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই খবর জানা গেছে।
হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনা করলেও, সেই আলোচনা কোনো ফলপ্রসূ সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়।
ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ ড্রোন হামলার পরবর্তী দৃশ্যের ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে বাসের ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন বয়স্ক মহিলা। বিলোপিলিয়া শহরে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত শোক পালন করা হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই বাসের যাত্রীরা বিলোপিলিয়া থেকে অন্যত্র যাচ্ছিলেন, তখনই এই হামলার শিকার হন। আহতদের সুমির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
এই হামলার ফলে শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। শুক্রবারের বৈঠকে দুই পক্ষই বড় ধরনের বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল।
ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানিয়েছেন, উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতি এবং দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে বৈঠকের বিষয়েও আলোচনা করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার আলবেনিয়ার তিরানাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যতক্ষণ না রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের উপর চাপ বজায় রাখতে হবে।
জেলেনস্কি তাঁর পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং তাঁদের সমর্থন চেয়েছেন। তিনি তুরস্কের বৈঠকে হওয়া আলোচনা সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য নেতাদের অবহিত করেছেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস