ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে একটি বেসামরিক বাসে রুশ ড্রোন হামলায় অন্তত নয় জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার, শান্তি আলোচনার কয়েক ঘণ্টা পরই এই হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামলায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের বিলোপিলিয়া শহরে এই হামলা চালানো হয়।
সুমি অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেহ হ্রিহোরভ জানান, আহত সাতজনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ টেলিগ্রামে এই ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তাদের দাবি, রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়া এখনো এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।
তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রুশ বাহিনী সুমি অঞ্চলে ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জামের একটি অবস্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ এনেছে।
উভয় দেশই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, হামলায় একটি ভ্যান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাড়ির যাত্রী আসনের ডান ও উপরের দিকে বড়সড় গর্ত তৈরি হয়েছে।
গাড়ির জানালা এবং উইন্ডশিল্ড ভেঙে গেছে।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ার হামলায় সুমির ঘটনা ছাড়াও দেশটিতে অন্তত ১৩ জন নিহত এবং ৩৮ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে দোনেৎস্ক অঞ্চলে নিহত হয়েছেন দুজন এবং খারকিভ ও খেরসন অঞ্চলে নিহত হয়েছেন একজন করে।
শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তিন বছর পর সরাসরি শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা, যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে এতে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
আলোচনায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের প্রতি তাদের নিয়ন্ত্রিত ভূমি ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়, যা ইউক্রেন প্রত্যাখ্যান করেছে।
ব্রিটিশ, ফরাসি, জার্মান ও পোল্যান্ডের নেতারা রাশিয়ার এই দাবিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন