২ বছরের ছেলের কাণ্ড! বিয়ের আংটি গেল কোথায়? ভাইরাল ভিডিও!

শিরোনাম: ২ বছরের ছেলের কাণ্ড, বিয়ের আংটি বাঁচাতে ভেঙে ফেললেন দরজার ফ্রেম!

ছোট্ট শিশুদের কৌতূহল সীমাহীন। আর তাদের এই কৌতূহলের ফলস্বরূপ মাঝে মাঝেই ঘটে নানান কাণ্ড। খেলনা থেকে শুরু করে দেওয়ালের ওপর ছবি আঁকা—ছোটদের কাণ্ডকারখানা চলেই থাকে। তবে সম্প্রতি এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়েছে ২ বছর বয়সী এক শিশু, যার জেরে রীতিমতো তোলপাড় অবস্থা!

যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাগদা গার্থের দুই বছরের ছেলে, ওয়াইল্ডার, মায়ের বিয়ের আংটি নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে যা শুনলে অবাক হতে হয়। জানা যায়, একদিন বাথরুমের কাছে রাখা একটি জুয়েলারি বক্স থেকে ওয়াইল্ডার মায়ের দুটি আংটি নিয়ে নেয়। এরপর সেগুলোর একটি নিয়ে খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত দরজার ফ্রেমে থাকা একটি সরু ফাঁকের মধ্যে ফেলে দেয়।

মাগদা জানান, তার স্বামী কাইল যখন কাপড় গোছাচ্ছিলেন, তখনই ওয়াইল্ডার আংটিগুলো নেয়। মাগদা বলেন, “আমার মনে হয়, সাধারণত আমার জুয়েলারি বক্সটি যেখানে থাকে, সেদিন সেটি হয়তো একটু অন্য জায়গায় ছিল, যে কারণে ওয়াইল্ডারের নাগালের মধ্যে চলে আসে।”

আংটিটি খুঁজে বের করতে মাগদাকে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। প্রথমে তিনি দরজার ফ্রেমের নিচে কাটেন, কিন্তু সেখানে আংটিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর তিনি ফ্রেমের অন্য অংশেও কাটতে শুরু করেন। বিষয়টি সহজ না হওয়ায় তিনি তার প্রতিবেশী শনের সাহায্য চান। শনের কাছে একটি লোহার তার ছিল। সেটি ব্যবহার করে অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে আংটিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

আংটি ফিরে পাওয়ার পর মাগদা যেমন খুশি হয়েছিলেন, তেমনই দরজার ফ্রেম সারানোর চিন্তায় ছিলেন তিনি। এই ঘটনার একটি ভিডিও তিনি টিকটকে শেয়ার করেন। বর্তমানে ভিডিওটির ভিউ ৩৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মাগদা জানান, তার এই ভিডিওটি অভিভাবকদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।

মাগদা বলেন, “যদি মনে করেন আপনার সন্তানের নাগালের বাইরে কিছু আছে, তাহলে ভুল করছেন। শিশুরা তাদের পথ খুঁজে নিতে পারে। তাই মূল্যবান জিনিসপত্র শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।” তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু আংটির বিষয় নয়, আপনার টাকা, পাসপোর্ট, চাবি—যে কোনও মূল্যবান জিনিস, যা শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা দরকার।”

এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, আমাদের প্রত্যেকেরই শিশুদের থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *