নতুন একটি বাড়িতে স্থানান্তরিত হওয়ার পর নিজের ব্যক্তিগত স্থান ফিরে পেতে এক নারীর আকুল আবেদন নিয়ে অনলাইন জগতে চলছে জোর আলোচনা। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে, যেখানে এক নারী তার সৎ ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা ঘর দিতে রাজি নন।
মূলত, এর পেছনের কারণটি বেশ ভিন্ন।
জানা যায়, ওই নারী এবং তার স্বামী তাদের তিন বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে একটি তিন কক্ষের বাড়িতে বসবাস করেন। স্বামীর আগের পক্ষের এক মেয়ে এবং দুই ছেলে তাদের সঙ্গেই থাকে।
বর্তমানে, তাদের সন্তানটি বাবা-মায়ের সঙ্গে একই ঘরে থাকে, ছেলেরা একটি ঘরে এবং সৎ মেয়ে অন্য একটি ঘরে থাকে।
বর্তমানে তারা একটি চার কক্ষের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের পরিকল্পনা ছিল, ভবিষ্যতে একটি অতিরিক্ত ঘর তৈরি করা হবে, যাতে সবার আলাদা ঘর হয়।
নতুন বাড়িতে যাওয়ার পর তাদের পরিকল্পনা ছিল, তাদের ৩ বছর বয়সী সন্তানের জন্য একটি আলাদা ঘর তৈরি করা হবে, যাতে মা-বাবা আলাদা থাকতে পারেন।
কিন্তু বিপত্তি বাধে স্বামীর নতুন প্রস্তাবে।
ওই নারীর স্বামী চান, তার আগের পক্ষের তিন সন্তানের প্রত্যেককে আলাদা ঘর দেওয়া হোক।
এর ফলে, তাদের সন্তানকে নিয়ে ওই দম্পতিকে আরও বেশ কয়েক মাস একই ঘরে থাকতে হবে, যতক্ষণ না তারা বাড়তি ঘর তৈরির কাজ শেষ করতে পারেন।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, সৎ ছেলেমেয়েরা সপ্তাহে মাত্র দু’দিন তাদের সঙ্গে থাকে।
অর্থাৎ, বাকি পাঁচ দিন তাদের ঘরগুলো খালিই পড়ে থাকে।
এই পরিস্থিতিতে, ওই নারী যুক্তরাজ্যের একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফোরামে তার দ্বিধা প্রকাশ করেন এবং অন্যান্য সদস্যদের কাছে জানতে চান, তিনি এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে কোনো ভুল করছেন কিনা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তারা এই বাড়ির জন্য বেশ বড় অঙ্কের টাকা খরচ করছেন, এবং তিনি দ্রুত নিজের ব্যক্তিগত স্থান ফিরে পেতে চান।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। অধিকাংশ সদস্যই ওই নারীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
তাদের মতে, যেহেতু সৎ ছেলেমেয়েরা সপ্তাহে মাত্র দু’দিন থাকে, তাই তাদের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করাটা খুব একটা যুক্তিযুক্ত নয়।
বরং, বাবা-মায়ের ব্যক্তিগত স্থান পাওয়াটা বেশি জরুরি।
অনেকের মতে, একই লিঙ্গের দুই ভাইবোনের একসঙ্গে থাকাটা স্বাভাবিক, কিন্তু বাবা-মায়ের নিজেদের জন্য আলাদা স্থান পাওয়াটা খুবই দরকারি।
এই ঘটনার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্থান ভাগাভাগি এবং ব্যক্তিগত চাহিদার গুরুত্ব নিয়ে আধুনিক সমাজে নতুন করে ভাবনার অবকাশ রয়েছে।
বিশেষ করে, যৌথ পরিবারগুলোতে এই ধরনের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়।
তথ্য সূত্র: পিপল