ভাইরাল দাদুর ইতালিতে ফেরা: চোখে জল আনা মিলনের গল্প!

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, যেখানে সম্পর্কের সংজ্ঞা প্রতিনিয়ত বদলায়, সেখানে একজন বৃদ্ধা ও তার নাতনীর ভালোবাসার গল্প মন ছুঁয়ে যায়। ইতালির বাসিন্দা ৭৮ বছর বয়সী ‘নন্না ফিনা’-র (দাদিমা) সঙ্গে ২৯ বছর বয়সী নাতনী ম্যাডির সম্পর্ক এমনই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

নিজেদের রান্নার রেসিপি, পারিবারিক গল্প, আর খুনসুটির ভিডিওর মাধ্যমে তারা জয় করেছেন নেটিজেনদের মন।

নন্না ফিনা প্রায় ৫ দশক আগে, স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। সুদূর প্রবাসে পাড়ি দেওয়ার পর, নিজের জন্মভূমি ইতালির সঙ্গে তার যোগাযোগ কমে আসে।

সময়ের সাথে সাথে, পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগও কঠিন হয়ে পড়েছিল। ১৪ বছর পর, নাতনী ম্যাডির ইচ্ছায়, নন্না আবার ফিরে গিয়েছিলেন নিজের জন্মভূমি ইতালিতে।

ইতালির বেনেভেন্টো প্রদেশের ছোট্ট গ্রাম গার্ডিয়া সানফ্রামন্ডিতে (Guardia Sanframondi) ফিরে গিয়ে নন্না যেন নতুন করে জীবন খুঁজে পান। সেখানে তিনি দেখা করেন তার তিন বোন, ভাই, এবং আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে।

নন্না বলেন, “পরিবারের সবাই যখন একসঙ্গে ছিলাম, চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। গ্রামটাকেও নতুন করে দেখলাম, অনেক কিছুই বদলে গেছে, আবার কিছু জিনিস আগের মতোই আছে। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা হলো, যা ভোলার মতো নয়।”

ম্যাডি তার দাদীর সঙ্গে ইতালিতে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। নন্না তার শৈশবের স্মৃতি, প্রিয় জায়গা, আর রান্নার কায়দা-কানুন নাতনীর সঙ্গে ভাগ করে নেন।

বুনো শতমূলী (wild asparagus) তুলে কীভাবে ফ্রিত্তাটা (frittata) বানাতে হয়, তা তিনি ম্যাডিকে শিখিয়েছেন। ম্যাডি বলেন, “দাদীর জন্মস্থানে যাওয়া, তার সঙ্গে পুরো গ্রাম ঘোরা, স্কুলের গল্প শোনা—এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।”

নন্না ফিনা, যিনি ইতালিতে জন্মেছিলেন এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিজের ঘর বানিয়েছেন, উভয় দেশকেই ভালোবাসেন।

তিনি বলেন, “ইতালি আমাকে জীবন দিয়েছে, আর অস্ট্রেলিয়া দিয়েছে ভবিষ্যৎ।” নন্না ও ম্যাডির এই মিষ্টি সম্পর্ক প্রমাণ করে, বয়স কেবল একটা সংখ্যা।

ভালোবাসা আর সম্পর্কের উষ্ণতা থাকলে, দূর থেকেও কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ভিডিওগুলি দর্শকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে ম্যাডি বলেন, “আসলে, দাদী ও আমার মধ্যে মজা করার জন্যই এই ভিডিও বানানো শুরু হয়েছিল।

আমরা এখনো সেভাবেই মজা করি। দাদীর রেসিপি, গল্প, আর জীবনের নানা টিপস আমার সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *