২০২৫ সালে বেশ কিছু জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে বিনোদন জগত, বিশেষ করে টেলিভিশন এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে, এখন এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে যেমন দর্শকপ্রিয় নতুন নতুন অনুষ্ঠান তৈরি হচ্ছে, তেমনই পুরনো অনেক ধারাবাহিক তাদের পথ হারাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে উঠে আসছে বিভিন্ন কারণ, যার মধ্যে অন্যতম হল আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং কৌশলগত পরিবর্তন।
আমেরিকার টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস-এর প্রেসিডেন্ট অ্যামি রাইজেনবাখ সম্প্রতি জানান, তাদের নেটওয়ার্কের অনেক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান বন্ধ করার পেছনে আর্থিক দিকটা বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন একটি অনুষ্ঠান বন্ধ করা সহজ কোনো সিদ্ধান্ত নয়।
বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে, যেমন – অনুষ্ঠানের দর্শকপ্রিয়তা, সৃজনশীলতা, আর্থিক বিষয়গুলো এবং রেটিং – সব কিছু বিচার করেই এই কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়।
শুধু সিবিএস নয়, অন্যান্য অনেক জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মও তাদের অনুষ্ঠানগুলোর বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাপল টিভি+, ম্যাক্স (আগে এইচবিও ম্যাক্স নামে পরিচিত ছিল), হুলু, এবং নেটফ্লিক্সের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোও তাদের কিছু অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।
এই পরিবর্তনগুলো দর্শকদের জন্য কিছুটা হতাশাজনক হতে পারে, কারণ অনেক পছন্দের ধারাবাহিক হয়তো তারা আর দেখতে পাবেন না।
তবে, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ, টেলিভিশন এবং স্ট্রিমিং জগৎ সব সময়ই নতুন কিছু নিয়ে আসে। পুরনো অনুষ্ঠানগুলোর পরিবর্তে নতুন এবং আকর্ষণীয় অনেক কিছুই দেখার সুযোগ থাকছে।
যেমন – হুলুর ‘প্যারাডাইস’ এবং ডিজনি প্লাসের ‘ডেয়ারডেভিল: বর্ন এগেইন’-এর মতো নতুন ধারাবাহিকগুলো দর্শকদের জন্য ভিন্ন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে।
বিনোদনের এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে, টেলিভিশন এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের কৌশল পরিবর্তন করে দর্শকদের জন্য আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে, আমরা সম্ভবত আরও বেশি আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান দেখতে পাব, যেখানে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও গল্প উঠে আসবে।
তথ্য সূত্র: পিপল