হারানো তারকা জশ হলোওয়ের সন্তানরা: জাভা ও হান্টারের জীবন!

“লস্ট” খ্যাত অভিনেতা জশ হলোওয়ের দুই সন্তান: কন্যা জাভা ও পুত্র হান্টারকে নিয়ে ভালোবাসার গল্প

জনপ্রিয় টিভি সিরিজ “লস্ট”-এর অভিনেতা জশ হলোওয়ে, যিনি অভিনয় জগতে বেশ পরিচিত, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে বাবা হিসেবেও অত্যন্ত সফল। তাঁর দুই সন্তান, কন্যা জাভা এবং পুত্র হান্টার, তাঁদের বাবার জীবনে এনেছে এক ভিন্ন জগৎ।

আসুন, তাঁদের সম্পর্কে কিছু জানা যাক।

জশ হলোওয়ে এবং তাঁর স্ত্রী ইয়েসিকা কুমালার প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯৯৯ সালে, একটি বারে। ২০০৪ সালের ১লা অক্টোবর তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

শুরুতে তাঁদের সন্তান ধারণের কোনো পরিকল্পনা ছিল না, তবে ভালোবাসার গভীরতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে জশ জানিয়েছিলেন, “আসলে, প্রকৃতিই তার পথ খুঁজে নেয়।

২০০৯ সালের ৯ই এপ্রিল, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ওহুতে জন্ম হয় জাভার। তখন জশ “লস্ট”-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

একটি সূত্রে প্রকাশ, “বাবা-মা দুজনেই খুবই খুশি”।

এরপর ২০১৪ সালের ২৭শে জানুয়ারি জন্ম নেয় তাঁদের ছেলে হান্টার।

বাবা হওয়ার পর জশের জীবনে আসে নতুন উদ্দীপনা। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেছিলেন, “এটা আমাকে আরও ক্ষুধার্ত করে তুলেছে, জীবনকে আরও উপভোগ্য করে তুলেছে।

আমি অনুভব করি, একজন ভালো মানুষ হওয়ার দায়িত্ব আমার। জাভার কাছে আমি একজন হিরো, আমাকে তো হতেই হবে।

জাভা কুমার হলোওয়ে, ১৬ বছর বয়সী:

২০০৯ সালে জন্ম নেওয়া জাভা এখন ১৬ বছরের কিশোরী। জশ প্রায়ই তাঁর মেয়ের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন।

একবার তিনি বলেছিলেন, “ছোট্ট খরগোশটিকে” হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসার কথা, যা ছিল ইস্টার সানডের দিন।

জাভার বেড়ে ওঠার বিভিন্ন গল্প শোনা যায়। একবার, জাভা বাবার “স্বাস্থ্য” নিয়ে মজা করেছিলেন, যা নিয়ে জশ একটি মজাদার গল্প বলেছিলেন।

জাভা দৌড়বিদ এবং একজন ভালো বেকারও। মেয়ের এই গুণাবলী জশকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করে।

তিনি একবার ফেসবুকে লিখেছিলেন, “তুমি যেমন, তা আমাকে আরও ভালো মানুষ হতে অনুপ্রাণিত করে।

হান্টার লি হলোওয়ে, ১১ বছর বয়সী:

২০১৪ সালে জন্ম নেওয়া হান্টার বাবার কাছে আদরের। জশ একবার বলেছিলেন, প্রথম সন্তানের বেলায় তাঁর কিছুটা ভয় ছিল, তবে দ্বিতীয় সন্তানের বেলায় তাঁরা অনেক শান্ত ছিলেন।

২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে জশ জানিয়েছিলেন, তাঁরা সবাই একই ঘরে ঘুমোন।

জশ তাঁর সন্তানদের সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নিতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে সঙ্গীতের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, তিনি তাঁর মেয়ে এবং ছেলের সঙ্গে পিয়ানোতে ক্রিসমাসের গান বাজানোর একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন।

হান্টারও বাবার সঙ্গে বিভিন্ন ভ্রমণে যায়। জশ একবার লিখেছিলেন, “আমার ছেলে এবং আমি একসঙ্গে সাঁতার কাটতে ভালোবাসি। জলে আমাদের আনন্দ।

২০২২ সালে হান্টারের জন্মদিনে জশ আবেগঘন একটি বার্তা লিখেছিলেন: “আমার ছোট্ট সোনা, তোমাকে তোমার সুপার পাওয়ারগুলিতে বেড়ে উঠতে দেখাটা অবিশ্বাস্য!

সাবধানে থেকো, তবে সাহসী হও! আমি তোমাকে আমার সবটুকু দিয়ে ভালোবাসি।

পিতা-মাতা হিসেবে জশ এবং ইয়েসিকা, তাঁদের সন্তানদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন রেখেছেন সবসময়।

তাদের পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *