যুক্তরাজ্যের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ছাত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে আসায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডের অ্যাশবার্নের অস্মাস্টন চার্চ অফ ইংল্যান্ড প্রাইমারি স্কুলে।
খবর অনুযায়ী, ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের ‘শো অ্যান্ড টেল’ নামক একটি অনুষ্ঠানে দেখানোর জন্য পকেট থেকে একটি পুরনো হ্যান্ড গ্রেনেড বের করে।
ঘটনার আকস্মিকতায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক জ্যানেট হার্ট হতবাক হয়ে যান।
তিনি দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেন এবং কোনো ঝুঁকি না নিয়ে ছাত্রটির কাছ থেকে সাবধানে গ্রেনেডটি গ্রহণ করেন।
তিনি জানান, গ্রেনেডটি পুরাতন হওয়ায় সেটির বিস্ফোরক ক্ষমতা আছে কিনা, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত ছিলেন না।
হার্ট সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের জানান।
এরপর তিনি গ্রেনেডটি স্কুলের পার্কিং লটের একটি গাছের পেছনে সরিয়ে রাখেন।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হার্ট বলেন, “আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি, এটা কী!
তবে, কোনো ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াটাই জরুরি ছিল।”
তিনি আরও জানান, ছেলেটি তার পরিবারের কাউকে না জানিয়েই গ্রেনেডটি স্কুলে নিয়ে এসেছিল।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় পুলিশ এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল (Explosive Ordnance Disposal – EOD) স্কুলে আসে।
তারা গ্রেনেডটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত করে যে, এটি সক্রিয় নয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেনেডটি ছিল ‘গ্রেড ৫’ হ্যান্ড গ্রেনেড।
পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, ইওডি দল গ্রেনেডটির বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং নিশ্চিত হয় যে, এটি কোনো বিপদ ঘটাবে না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জ্যানেট হার্ট এই ঘটনার পর ছেলেটির পরিবার এবং তার সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি জানান, ছেলেটি সম্ভবত জানত না যে ওটা আসলে কী এবং তার মধ্যে কোনো খারাপ উদ্দেশ্যও ছিল না।
এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের প্রতি তাদের সন্তানদের স্কুল-উপকরণ সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তারা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন, কোনো ঐতিহাসিক বা পুরাতন জিনিস, যা শিশুদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তা স্কুলে পাঠানোর আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিতে।
এই ঘটনার পর স্কুলের শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক হয়েছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল