গভীর রাতে এক প্রতিবেশীর উঠোনে খোঁড়া একটি গর্ত থেকে উদ্ধার করা হলো এক বৃদ্ধ, দৃষ্টিহীন ও শ্রবণ-অক্ষম কুকুরকে।
ঘটনাটি ঘটেছে শহরতলির একটি আবাসিক এলাকায়, যেখানে বন্যপ্রাণীর আনাগোনা প্রায়ই দেখা যায়।
কুকুরটিকে উদ্ধারের পর জানা যায়, সেটি আসলে তার নিজের কবর ছিল।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাতের বেলা ঐ এলাকার এক দম্পতি বাড়ির বাইরে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান।
প্রথমে তারা বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেননি, কিন্তু শব্দ ক্রমাগত আসতেই তারা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।
তারা ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন, একটি ছোট আকারের, বৃদ্ধ কুকুর একটি গর্তে আটকা পড়েছে।
কুকুরটির পরনে ছিল একটি গোলাপী সোয়েটার।
গর্তের পাশে ছিল একটি পাথরের ফলক, যেখানে ‘ক্রিসি’ নাম খোদাই করা ছিল।
কুকুরটিকে উদ্ধার করে তারা রাতে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান।
সারারাত ধরে কুকুরটি অস্থির ছিল এবং কান্নাকাটি করছিল।
পরের দিন সকালে তারা জানতে পারেন, কুকুরটি তাদের প্রতিবেশী জোডির।
জোডির মালিক জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে কুকুরটি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল, তাই তারা তার জন্য একটি কবর খুঁড়েছিলেন।
কিন্তু পরে জোডির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়।
এরপর একদিন সে ঘর থেকে পালিয়ে যায় এবং কোনোভাবে সেই গর্তে গিয়ে পরে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, কবরটির ফলকে ‘ক্রিসি’ নাম লেখা ছিল।
জানা যায়, ‘ক্রিসি’ নামের অন্য একটি কুকুরকে ঐ প্রতিবেশীরা আগে কবর দিয়েছিলেন, কিন্তু জোডির জন্য তখনও কোনো নামফলক তৈরি করা হয়নি।
এই ঘটনায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন, কারণ দৃষ্টিহীন ও শ্রবণ-অক্ষম একটি কুকুরের নিজের কবরে পরে যাওয়াটা কাকতালীয় নাকি অন্য কিছু, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এছাড়াও, কুকুরটি হারিয়ে যাওয়ার পরে কেন তার মালিকরা কোনো সাড়া দেননি, সেই বিষয়েও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল