যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যখাতে গুরুতর পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিভাগের (Health and Human Services – HHS) নতুন সচিব হিসেবে রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র (আরএফকে জুনিয়র) দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এই পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে।
তবে, তার কিছু নীতি এবং পছন্দের কর্মকর্তাদের নিয়ে এরই মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের স্বাস্থ্যখাতে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
জানা গেছে, কেনেডি জুনিয়র তার সহযোগী হিসেবে এমন কিছু ব্যক্তিকে বেছে নিয়েছেন, যাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচলিত ধারণার বাইরে নিজস্ব মতামত রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন।
এই পরিবর্তনের ফলে কেনেডি জুনিয়রের নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (MAGA) আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় স্বাস্থ্যখাতে MAGA নীতি প্রাধান্য পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, কেনেডি জুনিয়রের নীতি এবং কর্মকর্তাদের নির্বাচন নিয়ে হোয়াইট হাউসও অসন্তুষ্ট।
বিশেষ করে, চলতি বছর টেক্সাস এবং অন্যান্য অঞ্চলে হামের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কেনেডি জুনিয়রের দলের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে, স্বাস্থ্য বিভাগের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, যা কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে।
এই পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষস্থানীয় পদে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। কেনেডি জুনিয়রের নীতির সঙ্গে একমত নন এমন অনেক অভিজ্ঞ সরকারি কর্মচারী এরই মধ্যে চাকরি ছেড়েছেন।
এর ফলে, বিভাগের কার্যকারিতা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেনেডি জুনিয়রের এই নতুন পথে হাঁটা একদিকে যেমন স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে, তেমনি এর ফলে নীতিগত বিভাজন এবং কর্মপরিবেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যখাত ভবিষ্যতে কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন