শিরোনাম: ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন কমলা হ্যারিস।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সম্ভবত ২০২৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা বিবেচনা করছেন। তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা এবং রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের ভিত্তিতে এমনটা মনে করা হচ্ছে। যদি তিনি নির্বাচনে দাঁড়ান, তবে এটি ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে হ্যারিস তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবনের গতিপথ নির্ধারণের চেষ্টা করছেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করাটা কেমন হবে, সে বিষয়ে ধারণা লাভ করতে চাইছেন। এর অংশ হিসেবে, তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসভবনে বিভিন্ন আলোচনা সভা করছেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সমস্যাগুলো নিয়ে নিবন্ধ পাঠাচ্ছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেকেই মনে করছেন, গভর্নর পদে আসাটা তার জন্য খুব একটা খারাপ হবে না। বিশেষ করে রাজ্যের বাজেট ঘাটতি, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং স্থানীয় চলচ্চিত্র শিল্পের অবনতির মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার সুযোগ রয়েছে এখানে।
ক্যালিফোর্নিয়ার বর্তমান গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম সম্প্রতি রাজ্যের বাজেট পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিস্তারিত ধারণা দিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও, রাজ্যের আসন্ন ঘাটতি বিপুল পরিমাণে বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
গভর্নর পদের দৌড়ে হ্যারিসের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে রয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের সাবেক মেয়র আন্তোনিও ভিলারাইগোসা এবং ক্যালিফোর্নিয়ার বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রাক্তন সচিব, জেভিয়ার বেসেরা। ভিলারাইগোসা মনে করেন, হ্যারিস সম্ভবত এই পদটিকে তার জন্য ‘সামান্য সান্ত্বনা পুরস্কার’ হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, বেসেরা মনে করেন, ক্যালিফোর্নিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি কোভিড-১৯ মহামারীর সময়কালের মতোই কঠিন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হ্যারিসের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, তিনি ২০২৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা বিবেচনা করছেন। দ্বিতীয়ত, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হলে তিনি জাতীয় পর্যায়ে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারবেন। তবে, এর পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন, রাজ্যের বাজেট ঘাটতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে মোকাবিলা করা।
এই মুহূর্তে, হ্যারিসের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকে। কারণ, তার ঘোষণার পরেই এই দৌড়ের গতি প্রকৃতি বোঝা যাবে। বর্তমানে, আগামী জুনের প্রাইমারি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণার সময় এখনো ১০ মাস বাকি। এই সময়ের মধ্যে হ্যারিসের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের প্রচার প্রচারণা আরও জোরদার করতে পারেন।
বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে হ্যারিসের এই সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হ্যারিসের এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে নতুন দিকে মোড় দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন