ব্রিটিশ পরিচালক হ্যারি লাইটনের নতুন ছবি ‘পিলিয়ন’ মুক্তি পেতে চলেছে, যা ইতিমধ্যেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। এই ছবিতে ভালোবাসার এক ভিন্ন রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যেখানে সম্পর্কের জটিলতা, আবেগ, এবং আত্মসমর্পণের মতো বিষয়গুলো প্রধান্য পেয়েছে।
ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে কৌতূহলী চরিত্র কলিনকে নিয়ে, যে একজন লাজুক ট্রাফিক পুলিশ অফিসার। তার জীবনে আসে সুদর্শন, প্রভাবশালী ও কর্তৃত্বপূর্ণ বাইকার রে।
ছবিটি মূলত অ্যাডাম মার্স-জোন্সের উপন্যাস ‘বক্স হিল’-এর অনুপ্রেরণায় তৈরি। কলিনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন হ্যারি মেলিং, যিনি প্রতিটি সিনেমায় তার অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন।
অন্যদিকে, রে-এর চরিত্রে দেখা যাবে আলেকজান্ডার স্কার্সগার্ডকে। গল্পের শুরুতে, কলিনকে দেখা যায় তার বাবা-মায়ের সঙ্গে, যাদের মধ্যে মা পেগি (লেসলি শার্প) ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন।
বাবার সঙ্গে কলিন একটি স্থানীয় পাব-এ নিয়মিত গান করেন। একদিন, সেখানেই রে-এর সঙ্গে তার দেখা হয়।
রে-এর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব কলিনের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। ধীরে ধীরে, তাদের মধ্যে এক বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যেখানে কর্তৃত্ব ও আনুগত্যের এক ভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠে।
কলিন, রে-এর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তার বাইকার গ্যাংয়ের সঙ্গে মিশে যাওয়ার জন্য নিজের চেহারা পরিবর্তন করে এবং এক ভিন্ন জগতে প্রবেশ করে।
ছবিতে সম্পর্কের এই নতুন সংজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে শারীরিক সম্পর্কের চেয়ে মানসিক টানাপোড়েন ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরিচালক সম্পর্কের গভীরতা এবং এর ভেতরের জটিলতাগুলো দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, ভালোবাসার নামে এখানে কি আসলে ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে? রে-এর আসল উদ্দেশ্য কী? কলিনের মা পেগি কি এই সম্পর্কের বিপদ সম্পর্কে অবগত?
‘পিলিয়ন’ একটি সাহসী চলচ্চিত্র, যা ভালোবাসার চিরাচরিত ধারণাকে ভেঙে দেয়। ছবিটি দর্শকদের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান