ইউরোভিশনে বাজিমাত, ফিরছেন জেকে! অপেক্ষায় অধীর অস্ট্রিয়া

শিরোনাম: অস্ট্রিয়ার গায়ক জেজে-র জয়, ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতায় ‘ওয়েস্টেড লাভ’

ইউরোপের সবচেয়ে বড় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা, ইউরোভিশন সং কন্টেস্ট-এ (Eurovision Song Contest) জয়ী হয়েছেন অস্ট্রিয়ার গায়ক জেজে।

সুইজারল্যান্ডের বেসেল শহরে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় তার গাওয়া গান ‘ওয়েস্টেড লাভ’ বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। গানের ভিন্ন ধারার উপস্থাপন এবং জেজের কন্ঠের মাধুর্য মুগ্ধ করেছে দর্শক ও বিচারকদের।

শনিবার রাতের ফাইনাল অনুষ্ঠানে জেজে’র নাম বিজয়ী হিসেবে ঘোষণার পরেই উল্লাসে ফেটে পড়েন অস্ট্রিয়ার মানুষ।

অস্ট্রিয়ানরা তাদের দেশের হয়ে ইউরোভিশনে তৃতীয়বারের মতো জয়ী হওয়ার সাক্ষী থাকল।

এর আগে, ২০১৪ সালে কুইন কনচিতা ভুরস্ট এবং ১৯৬৬ সালে উডো জুরগেনস অস্ট্রিয়ার হয়ে এই খেতাব জিতেছিলেন।

জেজে-র আসল নাম জোহানেস পিয়েতশ।

তিনি ভিয়েনা স্টেট অপেরার একজন শিল্পী।

গানের জগতে তিনি সুপরিচিত।

তার অসাধারণ কণ্ঠ এবং সঙ্গীতের প্রতি গভীর অনুরাগের কারণে অল্প সময়েই তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

ইউরোভিশন জয়ী হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জেজে বলেন, “আমার স্বপ্নের চেয়েও বড় কিছু হয়েছে।

এটা অবিশ্বাস্য!”

তিনি আরও জানান, ভালোবাসাই পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী বিষয় এবং এই গানটি সেই ভালোবাসারই জয়গান।

তিনি নিজেকে গর্বিত এবং একজন কুইয়ার শিল্পী হিসেবে এই জয়কে উৎসর্গ করেন।

প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ইসরায়েলের গায়ক ইউভাল রাফায়েল।

তার গানটিও ছিল শ্রোতাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

তবে, গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিতর্কের কারণে ইসরায়েলের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে কিছু প্রতিবাদও হয়।

এবারের ইউরোভিশন ছিল সঙ্গীতের এক বিশাল মিলনমেলা।

২৬টি দেশের শিল্পীরা তাদের গান পরিবেশন করেন।

বিভিন্ন ধরনের গান, যেমন – ইলেক্ট্রোপপ, রক এবং বিভিন্ন ধারার সঙ্গীতের মিশ্রণে দর্শক-শ্রোতাদের মন জয় করেন শিল্পীরা।

প্রতিযোগিতার আয়োজন নিয়ে ইউরোপীয় সম্প্রচার ইউনিয়ন (EBU) জানায়, তাদের লক্ষ্য ছিল ঐক্যের বার্তা দেওয়া।

এদিকে, অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন শহর, যেমন – ইন্সব্রুক, বার্গেনল্যান্ডের ওবেরওয়ার্ট এবং আপার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে আগামী বছর এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

জেজে নিজেও জানিয়েছেন, তিনি চান ভিয়েনাতে এই আসর অনুষ্ঠিত হোক এবং তিনি তার গুরু কনচিতা ভুরস্টের সঙ্গে এটি আয়োজন করতে চান।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *