ডিডি’র দুই মেয়ের প্রোমে চোখ ধাঁধানো উপস্থিতি, সবাই হতবাক!

শিরোনাম: ডিডির যমজ কন্যাদের হাই স্কুল প্রোম, পিতার বিচার চলার মধ্যেই

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন র‍্যাপার শন “ডিডি” কম্বসের যমজ কন্যা জেসী ও ডি’লিলা কম্বস তাদের বাবার বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যেই লস অ্যাঞ্জেলেসে হাই স্কুল প্রোমে (উচ্চ বিদ্যালয় বিদায় অনুষ্ঠান) যোগ দেন। খবরটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

মে মাসের ১৭ তারিখে লস অ্যাঞ্জেলেসের হারবার হাউজে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রোম অনুষ্ঠান। আঠারো বছর বয়সী জেসী ও ডি’লিলা দুজনেই লাল রঙের পোশাক পরেছিলেন, যা তাদের একসঙ্গে আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। পোশাকের সঙ্গে মানানসই ফুলের তোড়া ছিল তাদের হাতে।

অনুষ্ঠানে দেরিতে আসার কারণ জানতে চাইলে তারা মজা করে বলেন, “আসলে আমাদের আসার পরেই তো আসল পার্টি শুরু হয়েছে। সেরাটা তো আমরা সবার শেষে রেখেছিলাম।”

ডিডি কম্বস ও প্রয়াত কিম পোর্টারের ঘর আলো করে জন্ম নিয়েছিল জেসী ও ডি’লিলা। ২০০৬ সালে তাদের জন্ম হয়। কিম পোর্টার ২০১৮ সালে মারা যান। এই দম্পতির আরও এক ছেলে রয়েছে, ক্রিশ্চিয়ান কম্বস। কুইন্সি ব্রাউন নামে কিম পোর্টারের আগের পক্ষেরও একটি ছেলে রয়েছে।

ডিডির পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে ১৯৯৩ সালে মিসা হাইলটনের গর্ভে জন্ম নেওয়া জাস্টিন কম্বস, এবং ২০০৬ সালে সারা চ্যাপম্যানের গর্ভে জন্ম নেওয়া চান্স কম্বস উল্লেখযোগ্য। সবশেষ, ২০২২ সালে তিনি ডানা ট্রানের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে লাভ কম্বস নামের এক কন্যার বাবা হন।

ডিডির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের শুনানি চলছে। তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক, প্রতারণা ও প্ররোচনার মাধ্যমে যৌন ব্যবসার ষড়যন্ত্র, এবং পতিতাবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে র‍্যাকেটিয়ারিং ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়েছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ডিডিকে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে তিনি ব্রুকলিনের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে বিনাবিচারে আটক আছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

শুনানির শুরুতে ডিডির পরিবারের সদস্যরা নিউইয়র্ক সিটির ফেডারেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ডিডির ছয় সন্তান এবং তার মা জেনিস কম্বসও সেখানে ছিলেন।

আদালতে মামলার শুনানিতে ডিডির প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসান্ড্রা “ক্যাসি” ভেন্টুরার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ড্যানিয়েল ফিলিপ নামে এক ব্যক্তিকে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের সময় ডিডি পাশে বসে ছিলেন এবং তিনি নাকি তা উপভোগ করছিলেন। এসময় জেসী ও ডি’লিলা দু’বার আদালত কক্ষ ত্যাগ করেন।

ফিলিপ আরও সাক্ষ্য দেন যে তিনি ডিডিকে ভেন্টুরার (৩৮) প্রতি সহিংস হতে দেখেছেন। ২০১৬ সালের একটি হোটেলের নিরাপত্তা ফুটেজেও ডিডিকে ভেন্টুরার ওপর হামলা করতে দেখা যায়। যদিও ডিডির দুই মেয়ে সেই ভিডিও দেখার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *