ওজন কমিয়ে তাক লাগালেন আমেরিকান আইডল জয়ী! মুখ খুললেন নতুন জীবন নিয়ে

আমেরিকান আইডল বিজয়ী, ইয়াম টোঙ্গির নতুন জীবনযাত্রা।

সম্প্রতি, জনপ্রিয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ‘আমেরিকান আইডল’-এর ২১তম সিজনের বিজয়ী ইয়াম টোঙ্গি তার স্বাস্থ্য এবং সঙ্গীত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন। এই প্রতিযোগিতায় জয়লাভের পর তিনি যেন নতুন করে জীবন শুরু করেছেন।

সম্প্রতি তিনি প্রায় ১১৫ পাউন্ড ওজন কমিয়েছেন, যা তার জীবনযাত্রায় এনেছে বড় পরিবর্তন।

লস অ্যাঞ্জেলেসে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ সিনেমার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টোঙ্গি জানান, তিনি এখন তার স্বাস্থ্যের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। প্রতিদিন তিনি একজন প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শরীরচর্চা করেন।

ইয়াম বলেন, “আমরা সাধারণত সকাল ১১টায় শরীরচর্চা করি। এরপর হয় বরফ স্নান করি, না হয় গরম বাথ নিই। তারপর গোসল করে হেঁটে আসি। এতে আমি ১১৫ পাউন্ড ওজন কমাতে পেরেছি। এখন নিজেকে দারুণ লাগছে।”

স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ইয়াম এখন মনোনিবেশ করেছেন তার সঙ্গীত জীবনে। বর্তমানে তিনি টেনেসির মেমফিসে বসবাস করছেন এবং সেখানেই নতুন গানের কাজ করছেন।

তিনি জানান, খুব শীঘ্রই তার একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার সঙ্গীতের অনুপ্রেরণা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বিশেষভাবে ‘সোল’ ঘরানার শিল্পী আল গ্রিনের কথা উল্লেখ করেন। এই কিংবদন্তি শিল্পীর গান তাকে মুগ্ধ করে।

সঙ্গীতের পাশাপাশি ইয়াম নতুন লাইভ-অ্যাকশন সিনেমা ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’-এর জন্য একটি গান করেছেন, যা তার কাছে দারুণ একটি অভিজ্ঞতা।

হাওয়াইয়ে কাটানো দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “বাড়িতে ফেরাটা আমার জন্য দারুণ আনন্দের। সেখানকার মানুষজন যখন আমাকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়, তখন খুব ভালো লাগে।”

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইয়াম জানান, সম্ভবত অক্টোবর মাসেই তার নতুন গান প্রকাশ হতে পারে। এছাড়া, তিনি পলিনেশিয়ান শিল্পী ফিজি’র সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন।

ইয়াম মনে করেন, ফিজি’র সঙ্গে কাজ করাটা তার জন্য একটি স্বপ্নের মতো হবে।

ইয়াম টোঙ্গি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একজন প্রতিভাবান কান্ট্রি সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে পরিচিত।

তিনি বলেন, কান্ট্রি সঙ্গীত তার শৈশবের সঙ্গে জড়িত। তার বাবা কান্ট্রি সঙ্গীত পছন্দ করতেন এবং ইয়ামকেও এই ধারার সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট করেন। ইয়ামের বাবা জর্জ স্ট্রেইট নামক একজন শিল্পীকে খুব ভালোবাসতেন।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইয়াম তার বাবাকে কিডনি রোগে হারান। বাবার মৃত্যুর পর, মায়ের উৎসাহে তিনি ‘আমেরিকান আইডল’-এ অংশ নেন। ইয়াম জানান, প্রথমে তার তেমন আগ্রহ ছিল না, কিন্তু পরে তিনি এই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেন।

তিনি এই সাফল্যের জন্য তার বাবাকে উৎসর্গ করেন। উল্লেখ্য, ইয়াম প্রথম হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের এবং প্রথম প্যাসিফিক আইল্যান্ডার হিসেবে ‘আমেরিকান আইডল’-এর মুকুট জয় করেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *