ডডির মামলা: আদালতে হাজির হয়ে যা বললেন মিশা হাইলটন!

বিখ্যাত র‍্যাপার শন ‘ডিডি’ কম্বসের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন পাচার মামলার শুনানিতে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা মিশা হিলটনকে ছেলের সমর্থনে আদালতে দেখা গেছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ডিডির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হিলটনের।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তিনি জানান, কেন তিনি এই বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন।

হিলটন তার পোস্টে লেখেন, “হ্যাঁ, আমি ভালো আছি সবাই। আমি আমার আরোগ্য লাভের পথে রয়েছি।” তিনি আরও জানান পায়ের আঘাতের কারণে আদালতে তিনি একটি ওয়াকার ব্যবহার করছিলেন।

“আহত হওয়ার পর আমি ব্যক্তিগতভাবে সেরে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু যখন আমার ছেলে বলল, ‘মা, আমার তোমাকে দরকার’, তখন আমি সেখানে ছিলাম, ওয়াকার নিয়ে হলেও,” যোগ করেন তিনি।

ছেলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হিলটন আরও বলেন, “আমি সবার আগে একজন মা, সত্যি বলতে। আমি আমার ছেলের শক্তি এবং এটাই সত্যি। যারা এটা বোঝে না, তারা হয়তো আমার জীবন এবং আমার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

এতে আমার কোনো সমস্যা নেই।

হিলটন তার পোস্টে ওয়াকার ব্যবহারের বিষয়ে বলেন, “যারা সাময়িকভাবে অক্ষম বা শারীরিক প্রতিবন্ধী, তাদের কারো শারীরিক অবস্থা বা আরোগ্য লাভের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে লজ্জা পাওয়া উচিত নয়।”

মিশা হিলটন ডিডির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। গত মার্চ মাসে ডিডির লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় হিলটন তার ছেলে জাস্টিন এবং ক্রিশ্চিয়ানকে নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা “অতিরিক্ত এবং সুস্পষ্ট সামরিক শক্তি” প্রয়োগ করার সমালোচনা করেন।

তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “আমার ছেলে জাস্টিন এবং ক্রিশ্চিয়ানের প্রতি যে শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

যদি তারা কোনো কৃষ্ণাঙ্গ সেলিব্রিটির ছেলে না হত, তাহলে তাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হতো না।”

এছাড়াও, ২০১৬ সালের মার্চে ডিডির তৎকালীন বান্ধবী ক্যাসান্ড্রা “ক্যাসি” ভেন্টুরার ওপর শারীরিক নির্যাতনের একটি ভিডিও প্রকাশের পর হিলটন তার সমর্থন জানান।

তিনি লেখেন, “ক্যাসিকে তার নির্যাতনের বিভীষিকা নতুন করে অনুভব করতে হচ্ছে, এটা ভেবে আমি দুঃখিত। আমার হৃদয় তার সঙ্গে আছে।

আমি জানি, সে কেমন অনুভব করছে এবং আমার সহানুভূতি আমার নিজের মানসিক আঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।”

আদালতে ডিডির বিচার প্রক্রিয়া এখনো চলছে। ডিডির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক, প্রতারণা বা প্ররোচনার মাধ্যমে যৌন পাচার, পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচার এবং ষড়যন্ত্রের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *