**American Idol-এর বিজয়ীর পুরস্কার: সাফল্যের শিখরে আরোহণের পথ**
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় একটি গানের প্রতিযোগিতা হলো ‘আমেরিকান আইডল’। এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা কেবল খ্যাতিই অর্জন করেন না, বরং তাদের জন্য খুলে যায় সাফল্যের এক নতুন দিগন্ত।
সম্প্রতি, ২০২৩ সালের বিজয়ী হিসেবে মুকুট জিতেছেন জামাল রবার্টস। এই সাফল্যের পথে কিভাবে একজন প্রতিযোগী এগিয়ে যান, তাদের জন্য কী কী সুযোগ অপেক্ষা করে, আসুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
‘আমেরিকান আইডল’ বিজয়ীর জন্য সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো একটি রেকর্ড কন্ট্রাক্ট বা গানের অ্যালবাম তৈরির সুযোগ। এছাড়াও, বিজয়ীকে দেওয়া হয় নগদ অর্থ পুরস্কার।
তবে, পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের বিজয়ী, কেলি ক্লার্কসন, রেকর্ড চুক্তি সহ এক মিলিয়ন ডলারের বেশি পেয়েছিলেন।
পরবর্তীতে, ২০১৬ সালের বিজয়ী ম্যাডি পোপ জানিয়েছিলেন, পুরস্কারের পুরো অর্থ তিনি একসঙ্গে পান না, বরং তা রেকর্ড তৈরির অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়।
শুধু নগদ অর্থ বা রেকর্ড তৈরির সুযোগই নয়, ‘আমেরিকান আইডল’ বিজয়ীদের জন্য খ্যাতির আলোও অনেক বড় একটি বিষয়। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়ার পর অনেকেই সঙ্গীত জগতে নিজেদের স্থান করে নিয়েছেন।
উদাহরণস্বরূপ, ক্যারী আন্ডারউড-এর কথা বলা যায়। তিনি ২০০৫ সালে এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন এবং বর্তমানে তিনি একজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জেনিফার হাডসন, যিনি এই প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছিলেন, পরবর্তীতে একজন বিখ্যাত শিল্পী হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন।
প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীরাও তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পান। লরেন অ্যালাইনা, যিনি দশম সিজনে রানার আপ হয়েছিলেন, এবং গ্যাবি ব্যারেট, যিনি ২০১৬ সালের আসরে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন, তাদের সঙ্গীত জীবনও উল্লেখযোগ্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময় প্রতিযোগীদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধাও থাকে। যেমন, হলিউড সপ্তাহে তাদের থাকা-খাওয়ার খরচ আয়োজকরা বহন করেন। এমনকি, যারা দূর থেকে আসেন, তাদের ভ্রমণের খরচও তারা দিয়ে থাকেন।
তবে, প্রতিযোগিতার প্রথম দিকে, সরাসরি সম্প্রচারের আগ পর্যন্ত, প্রতিযোগীদের কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না।
‘আমেরিকান আইডল’ অনেক তারকা শিল্পীর জন্ম দিয়েছে। কেলি ক্লার্কসন, যিনি এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন, এখন পর্যন্ত দশটি স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন এবং অসংখ্য পুরস্কার জিতেছেন।
ক্যারী আন্ডারউডও এই প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে উঠে এসে সঙ্গীত জগতে নিজের স্থান তৈরি করেছেন।
‘আমেরিকান আইডল’ বিজয়ীদের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং প্রতিভার মাধ্যমে সাফল্যের শিখরে আরোহণ করা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: পিপল