ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যানে খাবারের সন্ধানে আসা একটি বিশাল আকৃতির গ্রিজলি ভালুককে মেরে ফেলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইওমিং অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত এই পার্কটিতে ১১ বছর বয়সী একটি পুরুষ ভালুক প্রায়শই মানুষের খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করত।
কর্তৃপক্ষের মতে, ভালুকটি গত কয়েক মাস ধরে পার্কের বিভিন্ন স্থানে রাখা “ভালুক-প্রতিরোধী” ডাস্টবিনগুলো উল্টে খাবার খুঁজে বের করছিল। অবশেষে জনসাধারণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় গত ১৪ই মে তারিখে ভালুকটিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভালুকটি ওল্ড ফেইথফুল, নেজ পার্স পিকনিক এলাকা এবং আরও কিছু জনবহুল স্থানে খাবারের জন্য হানা দিত। তারা বিশেষভাবে তৈরি করা ডাস্টবিনগুলো ভাঙতে পারদর্শীতা অর্জন করেছিল, এমনকি কংক্রিটের বেস থেকে ছোট আকারের আবর্জনার পাত্রও উপড়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল ভালুকটি।
এর ফলে ভালুকটি ধীরে ধীরে মানুষের খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিল, যা সেখানকার মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছিল।
ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, সাধারণত ভালুক-প্রতিরোধী খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা এবং ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়, যাতে বন্যপ্রাণী সহজে মানুষের খাবার সংগ্রহ করতে না পারে। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে, যখন ভালুকগুলো চালাকি করে এসব বাধা টপকে যায়।
সেক্ষেত্রে মানুষের নিরাপত্তা এবং বন্যপ্রাণীদের জীবন রক্ষার জন্য এমন পদক্ষেপ নিতে হয়।
জানা গেছে, ভালুকটির ওজন ছিল প্রায় ১৮১ কিলোগ্রাম। সর্বশেষ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পার্কের ব্যাককান্ট্রি ক্যাম্পসাইটে তাঁবু ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং মানুষের খাবার সংগ্রহের কারণে একটি গ্রিজলি ভালুককে মেরে ফেলা হয়েছিল।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা এবং মানুষের সঙ্গে তাদের সংঘাত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইয়েলোস্টোনের এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব কতখানি।
তথ্য সূত্র: পিপল