প্রেমের পরিণতি: লালbarn-এ তরুণীর লাশ, ঘাতক প্রেমিক!

শিরোনাম: প্রেমিককে খুঁজে বের হওয়ার পর রহস্যজনক অন্তর্ধান, সৎ মায়ের স্বপ্নে মিলল কঙ্কাল, উন্মোচিত হলো নৃশংস হত্যাকান্ড।

রহস্য আর উদ্বেগে মোড়া এক ঘটনার সাক্ষী ছিল উনিশ শতকের ইংল্যান্ড। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার পর এক নারীর অন্তর্ধানের ঘটনা, যা পরবর্তীতে জন্ম দেয় এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের।

ঘটনাটি ঘটেছিল ইংল্যান্ডের সাফোক অঞ্চলে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন উইলিয়াম কর্ডার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মারিয়া মার্টিন নামের এক নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দু’জন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

সেই উদ্দেশ্যে, তারা সাফোকের একটি লাল রঙের গোয়ালঘরে মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যা ‘রেড বার্ন’ নামে পরিচিত ছিল।

কিন্তু মারিয়া আর ফিরে আসেননি। এরপরই রহস্য ঘনীভূত হয়। উইলিয়াম কর্ডার দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন এবং মারিয়ার পরিবারের কাছে একটি চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি জানান যে মারিয়া এবং তিনি বিবাহ করেছেন এবং অন্যত্র চলে গেছেন।

কিন্তু ঘটনা মোড় নেয় যখন মারিয়ার সৎ মা, অ্যান মার্টিন, একটি স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নে তিনি জানতে পারেন যে মারিয়ার মৃতদেহ ‘রেড বার্নে’ পুঁতে রাখা হয়েছে।

এই স্বপ্নের ওপর ভিত্তি করে মারিয়ার বাবা, তাঁর ‘কোদাল’ (spade) দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন এবং সত্যি সত্যিই মারিয়ার দেহাবশেষ খুঁজে পান।

এরপর শুরু হয় কর্ডারের খোঁজে তল্লাশি। ধরা পড়ার পর তিনি প্রথমে মারিয়াকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার কথা জানান, কিন্তু পরে দুই দিনের বিচার শেষে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।

বিচারে জানা যায়, ঝগড়ার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে তিনি মারিয়ার ঘাড়ে গুলি করেছিলেন।

১৮২৮ সালের ১১ই আগস্ট, কর্ডারকে ফাঁসি দেওয়া হয়। শোনা যায়, প্রায় ৭ থেকে ১০ হাজার মানুষ এই মৃত্যুদৃশ্য দেখার জন্য উপস্থিত ছিল।

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত একটি বিশেষ তথ্য হলো, কর্ডারের চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা দুটি বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়। এই ধরনের বই বাঁধানোর পদ্ধতিকে “অ্যানথ্রোপোডার্মিক বিব্লিওপেগি” বলা হয়, যেখানে মানুষের চামড়া ব্যবহার করা হয়।

বর্তমানে, সাফোকের একটি জাদুঘরে (Moyse’s Hall Museum) এই ধরনের একটি বই প্রদর্শিত হচ্ছে।

কর্ডারের কঙ্কাল দীর্ঘদিন লন্ডনের হান্টারিয়ান জাদুঘরে সংরক্ষিত ছিল। ২০০৪ সালে তার পরিবারের আবেদনের পর কঙ্কালটি পোড়ানো হয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *