ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সিরিয়ার উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা বিবেচনা করছে।
দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গৃহযুদ্ধ থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ইইউ’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূতরা একটি প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, যা খুব সম্ভবত ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটির পুনর্গঠনে সহায়তা করা।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রও দামেস্কের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, সিরিয়ার ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করার মতো নিষেধাজ্ঞাগুলোও তুলে নেওয়া হতে পারে।
তবে, একই সঙ্গে তারা এও জানিয়েছেন যে, জাতিগত সংঘাত উস্কে দেওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশেষ করে, সংখ্যালঘু আলাউয়েত সম্প্রদায়ের উপর হওয়া হামলাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এছাড়াও, সিরিয়া সরকারের প্রতি অস্ত্র বিক্রি এবং বেসামরিক নাগরিকদের দমন-পীড়নে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন সরঞ্জাম সরবরাহ করার উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
ফেব্রুয়ারি মাসে ইইউ সিরিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতে পূর্বে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে।
যদি সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেই নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় আরোপ করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার এই পদক্ষেপ সিরিয়ার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং দেশটির সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করবে।
তবে, মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগের কারণে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা সিরিয়া সরকারের জন্য জরুরি।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা