আজকালকার দিনে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে। স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা এবং এর প্রতি আসক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
সম্প্রতি, এই বিষয়টির ওপর আলোকপাত করে নতুন একটি বই প্রকাশিত হয়েছে, যার নাম ‘দ্য অ্যামেজিং জেনারেশন’। বইটি লিখেছেন জোনাথন হাইডিট এবং ক্যাথরিন প্রাইস।
এই বইটির মূল উদ্দেশ্য হলো কিশোর-কিশোরীদের স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করা এবং তাদের একটি সুখী ও পরিপূর্ণ জীবন গঠনে সাহায্য করা। ‘দ্য অ্যামেজিং জেনারেশন’ মূলত হাইডিটের আগের একটি বই ‘দ্য অ্যাংজাইটি জেনারেশন’-এর ধারাবাহিকতা।
‘দ্য অ্যাংজাইটি জেনারেশন’-এ স্মার্টফোনের কারণে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর যে প্রভাব পড়ে, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
নতুন এই বইটিতে লেখকরা স্মার্টফোন ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি কীভাবে এর আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বইটিতে আকর্ষণীয় সব চ্যালেঞ্জ, প্রযুক্তি দুনিয়ার গোপন কথা এবং তরুণদের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে।
যারা অল্প বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করে অনুতপ্ত, তাদের অভিজ্ঞতাও বইটিতে স্থান পেয়েছে।
বইটি মূলত পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য লেখা হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারবে এবং জীবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারবে।
বইটির লেখকরা মনে করেন, স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকলে তরুণরা আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী, সৃজনশীল এবং সাহসী হয়ে উঠবে।
হাইডিট জানিয়েছেন, ‘দ্য অ্যাংজাইটি জেনারেশন’ লেখার সময় তিনি অভিভাবকদের, আইন প্রণেতাদের এবং অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন, যাতে তারা দ্রুত নিয়মকানুন পরিবর্তন করতে পারেন।
তবে তরুণদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ক্যাথরিন প্রাইসের মতো ভালো আর কেউ নেই।
ক্যাথরিন প্রাইস বলেছেন, হাইডিটের সঙ্গে কাজ করতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তার মতে, জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো স্ক্রিনে নয়, বরং এর বাইরেই লুকিয়ে থাকে।
বর্তমানে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও শিশুদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে, যা অভিভাবকদের জন্য উদ্বেগের কারণ। তাই, ‘দ্য অ্যামেজিং জেনারেশন’-এর মতো বই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পারে এবং তাদের একটি সুস্থ জীবন গঠনে সহায়তা করতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল