প্রকাশ্যে গান: বিরক্তিকর প্রবণতা, অতিষ্ঠ যাত্রী!

শিরোনাম: জনপরিবহণে উচ্চ শব্দ: যাত্রী দুর্ভোগ বাড়ছে, বাড়ছে বিতর্ক

গণপরিবহনগুলোতে আজকাল একটি নতুন সমস্যা বাড়ছে, যা সাধারণ যাত্রীদের জন্য বেশ বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে। বিষয়টি হলো, হেডফোন ব্যবহার না করে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ডিভাইস থেকে উচ্চ শব্দে গান শোনা বা ভিডিও দেখা। একে অনেকে ‘শব্দ দৌরাত্ম্য’ বলছেন, যা এখন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের মানুষের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যুক্তরাজ্যে, বিশেষ করে লন্ডনে, গণপরিবহণে নীরবতা বজায় রাখার একটি ঐতিহ্য রয়েছে। সেখানে সম্প্রতি এই ধরনের শব্দ দূষণ বেড়ে যাওয়ায়, একটি বিরোধী রাজনৈতিক দল সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। তারা শব্দ সৃষ্টিকারীদের এক হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় [টাকার পরিমাণ] এর সমান।

ব্রিটিশদের মধ্যে একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে তারা প্রায়ই অন্যদের এভাবে গান শোনা বা ভিডিও দেখতে দেখেন। কিন্তু অর্ধেকের বেশি যাত্রী জানিয়েছেন, তারা অন্য কোনো যাত্রীকে শব্দ কমাতে বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।

শব্দ দূষণ নিয়ে শুধু গণপরিবহন নয়, শহরের অন্যান্য স্থানেও বিতর্ক বাড়ছে। লন্ডনের একটি আদালত সম্প্রতি রায় দিয়েছে যে, রাস্তার পারফর্মরদের উচ্চ শব্দে গান করা স্থানীয় অফিসের কর্মীদের জন্য “মানসিক নির্যাতন”-এর মতো। এর ফলস্বরূপ, ওয়েস্টমিনস্টার কাউন্সিল গান বাজানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশেও কিন্তু গণপরিবহনে শব্দ নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি বাড়ছে। বিশেষ করে, বাসে বা ট্রেনে উচ্চ শব্দে গান শোনা বা মোবাইল ফোনে কথা বলার প্রবণতা অনেক যাত্রীকেই বিরক্ত করে। অনেক সময়, এই কারণে অন্যদের সঙ্গে যাত্রীদের তর্কাতর্কিও হয়।

এক্ষেত্রে, সচেতনতা বাড়ানো এবং শব্দ দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। জনপরিবহণে অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং নিজেদের আচরণের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *