কুরস্কে পুতিনের সফর: যুদ্ধের আগুনে রাশিয়ার চাঞ্চল্য!

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনীয় বাহিনীর অনুপ্রবেশের পর প্রথমবারের মতো কুর্স্ক অঞ্চলে সফর করেছেন। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস-এর বরাত দিয়ে জানা যায়, গত বছর ইউক্রেনীয় বাহিনী কুর্স্ক অঞ্চলে প্রবেশ করার পর রাশিয়া অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করেছে বলে দাবি করে।

এই সফরের মাধ্যমে পুতিন যেন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ সুসংহত করার বার্তা দিলেন।

কুর্স্ক অঞ্চলের কুর্চাতভ শহরে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। এছাড়াও তিনি নির্মাণাধীন কুর্স্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, পুতিন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন।

গত বছরের আগস্ট মাসে ইউক্রেনীয় বাহিনী আকস্মিকভাবে কুর্স্ক অঞ্চলে প্রবেশ করে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনো বিদেশি শক্তির প্রথম রুশ ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ছিল। এরপর থেকে রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সহযোগিতায় ইউক্রেনীয় বাহিনীকে বিতাড়িত করতে লড়াই করছে।

অন্যদিকে, কিয়েভ সেখানে তাদের সেনাদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য মূল্যবান সম্পদ ব্যয় করছে, যা শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে দর কষাকষির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

গত মাসে পুতিন দাবি করেন, রুশ বাহিনী কুর্স্ক পুনরুদ্ধার করেছে এবং উত্তর কোরিয়ার সেনারাও এই অঞ্চলের ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। যদিও কিয়েভ জোর দিয়ে বলেছে, তাদের সেনারা এখনো ওই অঞ্চলে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

গত সপ্তাহে ইউক্রেন জানায়, তারা এখনো রাশিয়ার অভ্যন্তরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত বুধবার রাতে দেওয়া ভাষণে বলেন, “আমরা কুর্স্ক এবং বেলগোরোদ অঞ্চলে আমাদের সক্রিয় অভিযান অব্যাহত রেখেছি – আমরা ইউক্রেনের সীমান্ত এলাকাগুলো সক্রিয়ভাবে রক্ষা করছি।”

পুতিনের এই কুর্স্ক সফর একদিকে যেমন রাশিয়ার ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি কৌশল, তেমনি ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বও রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতের জন্য একটি বার্তা বহন করে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *