শাই গিলজিয়াস-আলেকজান্ডারের সাফল্যের পেছনে যাদের অবদান, বাবা-মায়ের অজানা গল্প!

বাস্কেটবল বিশ্বে শাই গিলজিয়াস-আলেকজান্ডারের (Shai Gilgeous-Alexander) সাফল্যের পেছনে যাদের অবদান, তাদের অন্যতম হলেন তার বাবা-মা। ক্যানাডিয়ান এই তারকা খেলোয়াড়ের উত্থানে তার বাবা-মা, চারমেইন গিলজিয়াস (Charmaine Gilgeous) এবং ভন আলেকজান্ডারের (Vaughn Alexander) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শাইয়ের মা চারমেইন একসময় ছিলেন একজন খ্যাতিমান স্প্রিন্টার। ১৯৯২ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিকে তিনি অ্যান্টিগা ও বার্বুডার হয়ে ৪০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন। খেলাধুলার প্রতি তার আগ্রহ এবং কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা তিনি সন্তানদের মধ্যে সঞ্চারিত করেছেন।

শাই তার মায়ের কাছ থেকে আত্মবিশ্বাস এবং অধ্যবসায়ের গুরুত্ব শিখেছেন।

অন্যদিকে, শাইয়ের বাবা ভন আলেকজান্ডারও ছিলেন বাস্কেটবলের প্রতি আগ্রহী। তিনি শুধু খেলাটি ভালোবাসতেন তাই নয়, বরং সন্তানদের খেলাটি শেখাতেন এবং তাদের প্রশিক্ষণে সাহায্য করতেন।

ছোটবেলা থেকেই শাই এবং তার কাজিন, বর্তমানে মিনেসোটা টাইম্বারওলভসের খেলোয়াড়, নাইকিল আলেকজান্ডার-ওয়াকার (Nickeil Alexander-Walker)-কে নিয়ে বাস্কেটবল খেলার প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি।

ভন চেয়েছিলেন তার ছেলেরা যেন একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে খেলে, যা তাদের খেলাটিকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।

ভনের তত্ত্বাবধানে শাই এবং নাইকিল একসঙ্গে বাস্কেটবলের প্রশিক্ষণ নিতেন। এমনকি তারা হাই স্কুল জীবনে একসঙ্গে একটি ঘরে থাকতেন।

তাদের কোচ বলেছিলেন, “শাই এবং নাইকিলের মধ্যে এমন কোনো বিষয় নেই যা তারা একে অপরের সম্পর্কে জানে না।”

শাই ২০১৮ সালে এবং নাইকিল ২০১৯ সালে, দুজনেই এনবিএ-তে (NBA) প্রবেশ করেন। বর্তমানে শাই ওকলাহোমা সিটি থান্ডারের হয়ে খেলেন।

আসন্ন ২০২৫ সালের ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে তাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

শাই তার মায়ের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মা দিবসে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মায়ের প্রতি তার ভালোবাসার কথা জানান।

খেলার শেষেও তিনি প্রায়ই তার মায়ের কথা উল্লেখ করেন, যিনি সবসময় তাকে সমর্থন জুগিয়েছেন।

পিতা ভন আলেকজান্ডারও ছেলের খেলা নিয়ে সবসময় উৎসাহ দেন। সম্প্রতি তিনি ‘নো ফ্লুকস ফাউন্ডেশন’ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা তৈরি করেছেন, যা বাস্কেটবল কমিউনিটির উন্নতিতে কাজ করে।

শাইয়ের বাবা-মা, তাদের ছেলের সাফল্যের জন্য গর্বিত এবং সবসময় তাকে সমর্থন করেন। তারা মনে করেন, জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, তাদের ভালোবাসা সবসময় তার সঙ্গে আছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *