সম্প্রতি অভিনেত্রী হিলারি ডাফের একটি ফ্যাশন সচেতনতা সকলের নজর কেড়েছে। ১৪ই মে তারিখে এই অভিনেত্রীকে দেখা যায় আরামদায়ক, আকর্ষণীয় এবং একইসঙ্গে স্টাইলিশ পোশাকে।
তার এই পোশাকের মূল আকর্ষণ ছিল একটি রিফর্মেশন টপ, যা ছিল প্রায় ১৪৮ মার্কিন ডলারের। এছাড়াও, তিনি পরেছিলেন একটি ঢিলেঢালা জিন্স, যা গ্রীষ্মকালের জন্য খুবই উপযোগী।
তার সাজসজ্জায় আরও ছিল একটি পয়েন্টেড-টো ফ্ল্যাট এবং একটি বড় আকারের ব্যাগ।
পশ্চিমা ফ্যাশন এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। আমাদের দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষেরাও এই ধরনের পোশাকের প্রতি আকৃষ্ট হন।
হিলারির এই পোশাকটি অনুসরণ করে, কীভাবে আমরা আমাদের নিজস্ব স্টাইলে এই ধরনের লুক তৈরি করতে পারি, সেই বিষয়ে কিছু ধারণা দেওয়া হলো।
হিলারির পোশাকের প্রধান উপাদানগুলো হলো একটি টপ, জিন্স, ফ্ল্যাট এবং একটি ব্যাগ। রিফর্মেশন টপটি সম্ভবত অনেকের কাছেই পছন্দের নাও হতে পারে, কারণ এর দাম বেশ বেশি।
তবে, বাংলাদেশে এই ধরনের টপের বিকল্প হিসেবে সুতির বা লিনেনের টপ বেছে নেওয়া যেতে পারে। গরমের জন্য হালকা রঙের এবং আরামদায়ক কাপড় উপযুক্ত।
এছাড়া, যারা একটু রক্ষণশীল, তারা চাইলে একটি পাতলা শ্রাগ অথবা লম্বা হাতার টপ ব্যবহার করতে পারেন।
জিন্সের ক্ষেত্রে, হিলারি বেছে নিয়েছিলেন একটি ঢিলেঢালা, ছিঁড়ে যাওয়া জিন্স। গরমের দিনে এই ধরনের জিন্স খুবই আরামদায়ক।
বাংলাদেশে বিভিন্ন লোকাল ব্র্যান্ডে বা অনলাইন শপিং সাইটে এই ধরনের জিন্স পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কাপড়ের গুণমান এবং দামের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ফ্ল্যাটগুলো সাধারণত পায়ের জন্য আরামদায়ক এবং যেকোনো পোশাকের সাথে সহজে মানানসই। হিলারি পরেছিলেন পয়েন্টেড-টো ফ্ল্যাট।
আপনারা চাইলে এই ধরনের ফ্ল্যাট অথবা অন্য কোনো আরামদায়ক ফ্ল্যাট বেছে নিতে পারেন।
ব্যাগটি ছিল বেশ বড় আকারের, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী। এই ধরনের ব্যাগ কলেজ, অফিস বা ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের বড় ব্যাগ পাওয়া যায়, যা হিলারির ব্যাগের মতোই স্টাইলিশ এবং কার্যকরী।
এই পোশাকের মাধ্যমে, হিলারি ডাফ প্রমাণ করেছেন যে আরাম এবং ফ্যাশন একসাথে বজায় রাখা সম্ভব। আমাদের দেশের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে, আমরা পোশাকের উপাদান এবং স্টাইল পরিবর্তন করে এই লুকটি সহজেই তৈরি করতে পারি।
এই ফ্যাশন অনুসরণ করে, আপনিও আপনার স্টাইলকে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলতে পারেন। আপনার পছন্দের পোশাকের ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: পিপল