যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য গ্যারি কন্সনলি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন, ৭৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কন্সনলি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ মানুষ, যিনি সবসময় মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন এবং সমাজের উন্নতি চেয়েছেন।
ভার্জিনিয়ার এই ডেমোক্রেট সদস্যের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকে। তিনি এপ্রিল মাসেই জানিয়েছিলেন যে, ক্যান্সারের কারণে আসন্ন নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
এর আগে, গত নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি তাঁর অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। কন্সনলির প্রয়াণ আমেরিকার রাজনীতিতে একটি শূন্যতা তৈরি করেছে।
কন্সনলির মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে, তিনি নিজের ক্যান্সার ফিরে আসার কথা জানিয়েছিলেন। এর আগে, তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
জানা যায়, তিনি খাদ্যনালীর ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
গ্যারি কন্সনলি ছিলেন হাউস ওভারসাইট কমিটির শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট। এই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়ানোরও ঘোষণা করেছিলেন।
তাঁর রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তিনি জনগণের সেবা করে গেছেন। এই সময়ে দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন তিনি।
কন্সনলির প্রয়াণের কয়েক দিন আগে, তিনি বন্ধু ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বাইডেন এবং তাঁর পরিবারের জন্য শুভকামনা জানিয়েছিলেন।
কন্সনলির মৃত্যু রিপাবলিকানদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করেছে। এর ফলে, মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আরও বাড়বে।
মার্চ মাস থেকে এই নিয়ে তৃতীয় কোনো ডেমোক্রেট কংগ্রেস সদস্যের মৃত্যু হলো। এর আগে, টেক্সাসের সিলভেস্টার টার্নার এবং অ্যারিজোনার রাউল গ্রিজালভা-ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
গ্যারি কন্সনলির স্ত্রী ক্যাথি এবং কন্যা ক্যাটলিন রয়েছেন।
তথ্য সূত্র: পিপলস