কান চলচ্চিত্র উৎসবে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘দ্য হিস্টরি অফ সাউন্ড’ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অলিভার হারমানাস পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পল মেসকাল এবং জোশ ও’কনর।
চলচ্চিত্রটি বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, আমেরিকার প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে, যেখানে দুটি যুবকের প্রেম এবং বিচ্ছেদের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
গল্পের শুরুটা হয় বোস্টনের একটি সঙ্গীত বিদ্যালয়ে, যেখানে ডেভিড নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিওনেল নামের এক তরুণের।
লিওনেল পেশায় ছিলেন কৃষক, অন্যদিকে ডেভিড ছিলেন উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তারা দু’জনে মিলে আমেরিকার মেইন অঙ্গরাজ্যের গ্রামীণ অঞ্চলে যান, সেখানকার লোকসংগীত রেকর্ড করতে।
তারা প্রকৃতির কাছাকাছি এসে ভালোবাসার গভীরতা অনুভব করেন।
সমালোচকদের মতে, ছবিটির দৃশ্যগ্রহণ খুবই সুন্দর হয়েছে।
পল মেসকাল এবং জোশ ও’কনরের অভিনয় প্রশংসনীয়, তবে গল্পের গভীরতা এবং আবেগের দিক থেকে ছবিটি কিছুটা দুর্বল।
কিছু সমালোচক মনে করেন, ছবির নির্মাণশৈলী বেশ আকর্ষণীয় হলেও, এর গতি অনেক ধীর এবং অনেক জায়গায় আকর্ষণ হারিয়েছে।
গল্পের প্রেম এবং বিচ্ছেদের দৃশ্যগুলো দর্শকের মনে গভীর রেখাপাত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ছবিতে সঙ্গীতের ব্যবহার করা হয়েছে, তবে তা দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি।
যদিও অভিনয়শিল্পীরা তাদের চরিত্রে যথাযথ ছিলেন, তবুও অনেকের মতে, তাদের আবেগ আরও বেশি ফুটিয়ে তোলা উচিত ছিল।
সমালোচকদের কেউ কেউ এই ছবিতে থাকা ডেভিড ও লিওনলের সম্পর্ককে নিপুণভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করেন।
তাদের মতে, ছবির শেষাংশে বিচ্ছেদের দৃশ্যগুলো কিছুটা হলেও দর্শকের মনে দাগ কাটে।
সব মিলিয়ে, ‘দ্য হিস্টরি অফ সাউন্ড’ ছবিটি একটি নান্দনিক সৃষ্টি, তবে এর দুর্বল চিত্রনাট্য এবং আবেগ-সংকটের কারণে এটি অনেকের কাছে প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান